Home National ৯ লাখের কপ্টারে মেয়েকে শ্বশুরবাড়িতে পাঠাতে চেয়েছিল পরিবার, তারপর যা হল…

৯ লাখের কপ্টারে মেয়েকে শ্বশুরবাড়িতে পাঠাতে চেয়েছিল পরিবার, তারপর যা হল…

by Shreya Maji
5 views

মহানগর ডেস্ক: হেলিকপ্টারে করে বিয়ের পর মেয়েকে শ্বশুর বাড়িতে পাঠাবেন,এমনটাই ছিল মায়ের শখ। কপ্টার ভাড়াও করা হয়েছিল। প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল সেই সঙ্গে। কিন্তু প্রশাসন এরপরেই নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে কপ্টার অবতরণের অনুমতি দিল না। অতঃপর কনে বাধ্য হয়ে বিমানবন্দর থেকে বিমানে শ্বশুরবাড়ি গেলেন।বিহারের জেহানাবাদ জেলার গোশী থানা এলাকার মহদ্দিপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।

সূত্রের খবরে জানা গেছে, জামসেদপুর নিবাসী বিবেক কুমার নামে এক যুবকের সঙ্গে গোশী থানা এলাকার মহদ্দিপুর গ্রামের বাসিন্দা রামানদন দাসের মেয়ে মেঘার সঙ্গে বিয়ে হয় ২৭ নভেম্বর। দু’জনেই প্রতিষ্ঠিত মেঘা এবং বিবেক। পেশায় চিকিৎসক।কিন্তু চিকিৎসক মেয়ের মার হঠাৎ অদ্ভুত খেয়াল চেপে বসল বিয়ের কয়েকদিন আগেই। তিনি ঠিক করেন, কপ্টারে চাপিয়ে বিয়ের পর মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি পাঠাবেন। তিনি নিজেই একজন অবসরপ্রাপ্ত রেলওয়ে হাসপাতালের কর্মী। প্রচুর অর্থ থাকলে যা হয়। সেই মতো একটি কপ্টার বুক করার জন্য ছেলে মৃত্যুঞ্জয় কুমারকে পাটনা পাঠিয়েছিলেন।একটি বেসরকারি সংস্থার কপ্টার প্রায় ৯ লাখ টাকা দিয়ে বুক করা হয়।অপরদিকে, কপ্টার ভাড়া করার পরেই অবতরণের জন্য গ্রামের একটি মাঠে তৈরি করা হয়েছিল অস্থায়ী হেলিপ্যাড।এরপর বিয়ের পরদিন অর্থাৎ ২৮ নভেম্বর কপ্টারে করে যখন কনেকে বিদায় দেওয়ার পালা, তখন সেখানে স্থানীয় প্রশাসন হাজির হয়।কপ্টারটিকে অবতরণ করতে দেওয়া হয়নি নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে।

শেষ পর্যন্ত,রামানন্দের মেয়ে ও মেয়ে জামাইকে গাড়ি করে বিদায় দিতে হয়েছিল।নবদম্পতি গাড়ি করে গয়া বিমানবন্দরে যাওয়ার পর বিমানে করে জামসেদপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তবে, কপ্টার অবতরণে প্রশাসন অনুমতি না দেওয়ায়, পরিবারের পাশাপাশি স্থানীয় মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়।

You may also like