মহানগর ডেস্ক : সন্দেশখালিতে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত করছে। রাজ্য সরকার কলকাতা হাই কোর্টের এই তদন্তের বিরোধীতা করে সুপ্রিম কোর্টে যায়। এদিকে সোমবার শীর্ষ আদালতে এই মামলাটি উঠলে রাজ্যের তরফের আইনজীবী অভিষেক মনুসিংভি বলেন, এই মামলায় আরও কিছু তথ্য সংগ্রহ তাদের হাতে এসেছে। তাই তাদের ২-৩ সপ্তাহ সময় দেওয়া হোক। এর পর বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য, এই মামলায় গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ রয়েছে। মহিলাদের উপর নির্যাতন, জমি কেড়ে নেওয়ার মতো অভিযোগও রয়েছে। শীর্ষ আদালত এ-ও জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে মামলা বিচারাধীন রয়েছে বলে তদন্তপ্রক্রিয়া ব্যাহত করা যাবে না। তদন্ত যেমন চলছিল, চলবে। সুপ্রিম কোর্টে মামলা বিচারাধীন দেখিয়ে হাই কোর্ট চলা মামলায় কোনও বাধা দেওয়া যাবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিল শীর্ষ আদালত। অর্থাৎ সিবিআই তদন্ত সন্দেশখালিতে চলবে, কোনও স্থগিতাদেশ থাকছে না।
গত শুক্রবারই সন্দেশখালি মামলায় সিবিআই তদন্তের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার! সন্দেশখালিতে জমি দখল ও নারী নির্যাতনের ঘটনায় তদন্তের ভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। শুক্রবারই কলকাতা হাই কোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে যায় রাজ্য। উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালেই সন্দেশখালিতে আবার হানা দিয়েছিল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি সূত্রে খবর, শাহজাহান শেখের এক ঘনিষ্ঠের আত্মীয়ের বাড়িতে প্রচুর অস্ত্র এবং বোমা মজুত রয়েছে, এমন খবর পাওয়া মাত্রই অভিযান চালানো হয়েছিল। সিবিআই, এনএসজি-র তল্লাশি অভিযানে মিলেওছে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র। ঘটনাচক্রে, একই দিনে সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের বিরুদ্ধে রাজ্য শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়। শীর্ষ আদালত রাজ্যের আইনজীবীর কাছে জানতে চায় কেন কোনও ব্যক্তির স্বার্থের জন্য রাজ্য শীর্ষ আদালতে আসছে? কেন জমি দখলের মতো অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে আছে তাদের পক্ষে রাজ্য সরকার দাঁড়াচ্ছে?
এই প্রসঙ্গে সিপিএম রাজ্যসভার সাংসদ ও আইনজীবী বলেন, রাজ্য সরকার সময় চেয়ে বুঝিয়ে দিল তাদের হাতে এই মামলার বিরোধীতা করার জন্য উপযুক্ত তথ্য নেই, তার মানে রাজ্য সরকার সিবিআই তদন্ত মেনে নিল, তাই সময় চাইল। এসব মামলা করতে কেন সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার?