মহানগর ডেস্ক: আমি বাঁচতে চাই না। আমাকে মরার অনুমতি দিন। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে চিঠি লিখে মৃত্যুর অনুমতি চাইলেন উত্তরপ্রদেশের এক মহিলা বিচারক। এক জেলা জজের বিরুদ্ধে লাগাতার যৌন হেনস্থার অভিযোগ জানিয়ে চিঠি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিচারকের আর্তি মাখানো চিঠি ভাইরাল হওয়ার পর তোলপাড় শুরু হয়েছে।
চিঠিতে যোগী রাজ্যের বান্দার মহিলা বিচারক লিখেছেন অনুগ্রহ করে তাঁকে সম্মানজনক উপায়ে জীবন শেষ করার অনুমতি দেওয়া হোক। তাঁর অভিযোগ বরাবাঁকিতে বিচারক হিসেবে থাকার সময় এক জেলা জজ ও তাঁর সহযোগীরা তাঁকে যৌন হেনস্থা করেছেন। মহিলা বিচারক প্রধান বিচারপতিকে লিখেছেন তাঁকে চূড়ান্ত যৌন হেনস্থা করা হয়েছে। তিনি যেন নোংরা আবর্জনা, সেরকমভাবেই তাঁকে দেখা হয়েছে। নিজেকে তাঁর অবাঞ্ছিত কীট বলে মনে হচ্ছে। বিশাল এক চিঠিতে পুরো বিষয়টি পুংখানুপুঙ্ক্ষভাবে জানিয়েছেন ওই মহিলা বিচারক।
তাঁর চিঠির প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নির্দেশে সুপ্রিম কোর্টের সেক্রেটারি জেনারেল অতুল এম কুরহেকর গোটা বিষয়টি সম্পর্কে রিপোর্টের জন্য এলাহাবাদ হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে সমস্ত অভিযোগের বর্তমান অবস্থা জানতে চেয়ে চিঠি লিখেছেন। গতকাল রাতে সেক্রেটারি জেনারেলকে ফোনে জানানো হয় হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ওই খোলা চিঠির বিষয়টি দেখছেন। ওই মহিলা বিচারক চিঠিতে জানিয়েছেন এমাসের জুলাই মাসে তিনি ইন্টারনাল কমপ্লেন্টস কমিটির কাছে অভিযোগ জানালে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়,যদিও তদন্ত একটি প্রহসন ছাড়া কিছুই নয়। তদন্তের সাক্ষীরা সবাই জেলা জজের অধস্তন।
কীভাবেই বা বসের বিরুদ্ধে তাঁরা সাক্ষ্য দেবেন, চিঠিতে প্রশ্ন তুলেছেন ওই মহিলা বিচারক। জানিয়েছেন অবাধ তদন্ত হওয়ার জন্য তিনি ওই বিচারকের বদলির অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে আট সেকেন্ডের মধ্যে তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এ কারণে তাঁর আর বাঁচার ইচ্ছে নেই। তাঁকে যেন সম্মানের সঙ্গে মরার অনুমতি দেওয়া হয়।