মহানগর ডেস্ক: তাঁর শারীরিক ক্ষতি করার ষড়যন্ত্র করেছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। সোমবার এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। শাসকদল সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের কর্মী-সদস্যেরা তাঁর কনভয়ের ওপর হামলা চালানোর পরই এমন গুরুতর অভিযোগ এনেছেন রাজ্যপাল। তিরুঅনন্তপুরম থেকে দিল্লি বিমানবন্দরে যাওয়ার সময় হামলার ঘটনাটি ঘটে। রাজ্যপালের এহেন অভিযোগের পরই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বামশাসিত কেরলে রাজ্য রাজনীতি।
সংবাদমাধ্যমকে রাজ্যপাল জানিয়েছেন এই ঘটনা তাঁর শারীরিক ক্ষতি করার জন্য সংগঠিত ষড়যন্ত্র। এই ঘটনার পেছনে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের দিকে। রাজ্যপালের মতে, এটি কোনও দুর্ঘটনা নয়। এই ঘটনাটি তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে নিশানা করে হামলা। তাঁর প্রশ্ন, এটা কি সম্ভব মুখ্যমন্ত্রী কোনও অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় প্রতিবাদকারীদের তাঁর যাত্রাপথে ভিড় করার অনুমতি দেওয়া হবে। পুলিশ কি মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির সামনে প্রতিবাদকারীদের যাওয়ার অনুমতি দিতে পারে, প্রশ্ন রাজ্যপালের। প্রতিবাদকারীদের গাড়়ি কেন সেখানে দাঁড়িয়ে থাকবে আর তাদের গাড়িতে জোর করে গাড়িতে তুলে দেবে,এই প্রশ্নও তুলেছেন রাজ্যপাল। ঘটনা হল তিনি মুখ্যমন্ত্রীই,যিনি তাঁকে শারীরিকভাবে আঘাত করার জন্য সেখানে তাদের পাঠিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, গুন্ডারাই তিরুঅনন্তপুরমের রাস্তার দখল নিয়েছিল।
হামলার ঘটনায় দৃশ্যত ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল ঘটনার তীব্র নিন্দা করে কেরলের গণতন্ত্রের হাল ক্রমশ নিম্নগামী হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন। তাঁর মতে, রাজনৈতিক অশান্তি কোনওভাবেই রাজ্যকে হিংসার দিকে ঠেলে দিতে পারে না। রাজ্যপালের অভিযোগ প্রতিবাদকারী ছাত্ররা শুধু কালো পতাকাই দেখায়নি, তাঁর গাড়ির দুদিক থেকে হামলা চালিয়েছে। তিনি যখন গাড়ি থেকে নেমেছিলেন তখন কেন তারা পালিয়ে গিয়েছিল,প্রশ্ন রাজ্যপালের। তারা সবাই একটি গাড়িতে বসেছিল যার অর্থ পুলিশ ব্যাপারটা জানতো। কিন্তু পুলিশের কীই বা করার আছে,যখন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী তাদের নির্দেশ দিচ্ছেন।
রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে মোট তিন জায়গায় রাজ্যপালকে কালো পতাকা দেখানো হয়েছে। দু জায়গায় হামলা চালানো হয়েছে। অন্যদিকে পুলিশ জানিয়েছে একমাত্র একটি জায়গাতেই এসএফআই কর্মী-সদস্যরা অবরোধ করেছিল। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।