মহানগর ডেস্ক: চব্বিশ ঘণ্টা আগেও আত্মবিশ্বাসী ছিল ইন্ডিয়া ব্লক শিবির। আগামী বছরের বহু চর্চিত আসন্ন লোকসভা ভোটে গেরুয়া শিবিরকে দমিয়ে দিল্লির কুর্সি দখল করতে পারবে তারা, শেষ হবে মোদী-শাহের জমানা। এমনই অঙ্ক কষে রেখেছিল বিরোধীরা। পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর মুখ নিয়ে চর্চাও চলছিল জোর কদমে। কিন্তু আজ সকাল থেকে মধ্যপ্রদেশ,রাজস্থান, ছত্রিশগড়ের ফল যত এগিয়েছে,ততই ফিকে হতে শুরু করেছে ইন্ডিয়া ব্লকের আশা।
শুধু শান্ত্বনা পুরস্কার হিসেবে কেসিআরের হাত থেকে তেলঙ্গনা কেড়ে নিয়েছে কংগ্রেস। ব্যস, এটুকুই। বাকিটা গেরুয়া ঝড়ের ঝাপটায় রীতিমতো ম্রিয়মান ইন্ডিয়া ব্লক। কংগ্রেসের দখলে থাকা রাজস্থানকে কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি তারা নিয়ে নিয়েছে ছত্রিশগড়, যা রাজনৈতিক অঙ্কের বাইরে ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। অশোক গেহলটের শাসনে থাকা রাজস্থানের ফল উল্টে দেওয়াকে কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। শচীন পাইলটের সঙ্গে দ্বন্দ্ব মিটিয়ে বিজেপিকে বেগ দিতে গিয়েও শেষরক্ষা করতে পারেনি কংগ্রেস। বরং গেহলটের উন্নয়নের অভাব থেকে শুরু করে রাজ্যে দুর্নীতি,নারী নিরাপত্তাহীনতাকে কাজে লাগিয়ে সেমিফাইনালে ইন্ডিয়া ব্লককে জোর ধাক্কা দিতে পেরেছে বিজেপি। যেমন চমকে দিয়েছে ছত্তিশগড়। সেখানেও কংগ্রেস ফিরছে বলেই ধরে নিয়েছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
কিন্তু সেই অনুমানকে মিথ্যে করে লোকসভা ভোটের আগে ক্রুশিয়াল ফ্যাক্টর করে তুলেছে ওই রাজ্যের ফল। অনেকেরই ধারণা, এই তিন রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফল বিজেপিকে লড়াইয়ে বড় অ্যাডভান্টেজ দিতে চলেছে। তবে শান্ত্বনা পুরস্কার হিসেবে তেলঙ্গনা জয় বিরোধীদের কতটা মনোবল বাড়াবে, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। কেউ কেউ আগামী লোকসভা ভোটে ইন্ডিয়া ব্লকের ভারতজয়ের স্বপ্নকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিল। যদিও এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার বলেছেন এই ফল কিছু প্রমাণ করে না। এখন তার অপেক্ষায় রয়েছে ইন্ডিয়া জোট।