মহানগর ডেস্ক : বুধবার ফের সন্দেশখালিতে জনরোষ! সন্দেশখালির ঝুপখালি এবং বয়ারমারিতে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ, দাবি শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে হবে,ঝুপখালিতে নতুন অভিযোগ তৃণমূল নেতা হাজি সিদ্দিক আলি মোল্লার নামে। এদিন সন্দেশখালির বয়ারমারিতে তৃণমূলের আরবএক নেতা শান্তনু জানার বিরুদ্ধে গ্রদমবাসী অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। শান্তনু জানার বিরুদ্ধে অভিযোগ সে খেলার মাঠ ভরাট করে শেখ শাহজাহানের নির্দেশে দোকান করছে। শান্তুনু জানা শেখ শাহজাহানের ডান হাত বলেও অভিযোগ করছেন গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীরা নিজের হাতে শেখ শাহজাহানের নির্দেশে খেলার মাঠ দখল করে বাজার, বানানো দোকানের ইঁটের গাথনি ভেঙে দিচ্ছে।
এদিকে বেড়মজুরে যখন বুধবার সকালে শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারির দাবিতে থানায় অভিযোগ জমা দিতে যাচ্ছেন তখন পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি আছে বলে বিক্ষোভরত মহিলাদের আটকে দেয়। তখন ওই প্রতিবাদী গ্রামের মহিলারা বলেন, ১৪৪ ধারা জারি থাকলে আমরা ২ জন করে যাবো। পুলিশ আমাদের বলছে অভিযোগ জমা দিতে, আবার সেই পুলিশ কেন অভিযোত জমা দিতে গেলে ১৪৪ ধারা জারি আছে বলে আমাদের আটকে দিচ্ছে? এরপরই গ্রামের মহিলাদের ক্ষোভ এবং জমায়েত বাড়তে থাকে। তখন একটা উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটায় পুলিশ। গ্রামের মহিলাদের ক্ষোভ প্রশমিত করতে দ্রুত টেবিল-চেয়ার এনে বিক্ষোভরত মহিলাদের সামনেই অভিযোগ গ্রহণ কেন্দ্র খুলে ফেলে। তবে পুলিশের এই ভূমিকাতে সন্তুষ্ট হননি গ্রামের মহিলারা, তাঁরা দাবি করতে থাকেন, এতোদিন আমরা অভিযোগ জমা দিতে চেয়েছি, তখন পুলিশ কোথায় ছিল? আজ যখন আমরা নিজেদের অধিকার, সম্পত্তি, সম্মান রক্ষার জন্য নিজেরা পথে নেমেছি, তখন পুলিশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
এদিকে বুধবার কলকাতা হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, শেখ শাহজাহানকে যে কোনও এজেন্সি গ্রেফতার করতে পারে, তার গ্রেফতারিতে ইডি, সিবিআই-র কোনও বাধা নেই। এরই মধ্যে ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, “সন্দেশখালির আন্দোলন, মা-বোনেদের পাশে থেকেই বলছি, সন্দেশখালির ঘটনাকে সামনে এনে কী কালীঘাটের কাকুর ভয়েজ টেস্টের রিপোর্ট চাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে?” এদিকে সন্দেশখালি এখন এক কথায় সিসি ক্যামেরা দিয়ে পুলিশ মুড়ে ফেলেছে। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন হচ্ছে একটাই এতো কিছুর পরেও কেন এখনও অধরা সন্দেশখালির “বেতাজ বাদশা” শেখ শাহজাহান। বাঘ কেন এখন ইঁদুরের মতো লুকিয়ে আছে? এই প্রশ্ন তুলছেন সন্দেশখালির গ্রামবাসীরা।