Election Commission
মহানগর ডেস্ক: লোকসভা যুদ্ধের ঘণ্টা বেজে গিয়েছে। ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রচারও। ময়দানে নেমেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সূত্রের খবর , নির্বাচন কমিশন সম্ভবত ১৩ মার্চের পরে লোকসভা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে পারে। লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি মূল্যায়ন করতে নির্বাচন কমিশন একাধিক রাজ্যে সফর করছে এবং তা সম্পন্ন হলে তারিখ ঘোষণা করা হবে। শুক্রবার সূত্র জানিয়েছে এমনটাই।
মন্ত্রিসভার অনুমোদন ছাড়া বিনামূল্যে রেশন দানের ঘোষণা কীভাবে, কংগ্রেসের নিশানায় মোদী
মহানগর ডেস্ক: কংগ্রেস দেশের গরিব মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার বিরুদ্ধে নয়।তবে যেভাবে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করে প্রধানমন্ত্রী সরকারী যোজনার ঘোষণা নির্বাচনী প্রচারে করেছেন, তাতেই আপত্তি দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দলের। প্রধানমন্ত্রী কোন অধিকারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদনের আগেই প্রকল্প ঘোষণা করলেন,দেশের বৃহত্তম বিরোধী দল সেই প্রশ্নও তুলছে।
তাদের দাবি অনুযায়ী, এই সিদ্ধান্তে আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল প্রধানমন্ত্রীর ‘জুমলা’। সাম্প্রতিক অতীতে বারবার মোদি ও বিজেপি দাবি করেছে, দেশে কমছে অর্থনৈতিক বৈষম্য। ক্রয়ক্ষমতা বাড়ছে নিম্নবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্তের। কংগ্রেসের প্রশ্ন, যদি সত্যিই তা হবে, তাহলে কেন প্রসঙ্গ আসছে বিনামূল্যে পাঁচ বছর রেশন দেওয়ার?
প্রধানমন্ত্রী ছত্তিশগড়ের দুর্গে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে গত শনিবার ঘোষণা করেন, দেশের ৮০ কোটি মানুষকে আগামী পাঁচ বছর প্রতিমাসে বিনামূল্যে মাথাপিছু পাঁচ কেজি করে খাদ্যশস্য দেওয়া হবে। কীভাবে কোনও নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের ঘোষণা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী, এই অভিযোগে ইতিমধ্যেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে কংগ্রেস।
রাজ্যসভা সাংসদ তথা প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশ প্রশ্ন তুলেছেন, “কীভাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় পাশ হওয়ার আগে এই ঘোষণা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী? তাও আবার নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে?” এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে হলে প্রয়োজন ১১ লক্ষ কোটি টাকা। সেই প্রতিবেদনও এদিন নিজের সামাজিকমাধ্যম প্রোফাইলে পোস্ট করেন জয়রাম। অনেক আগে থেকেই ‘প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা’ নিয়ে অবশ্য অন্য এক কারণে প্রতিবাদ করে এসেছে কংগ্রেস।
তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখলেও দিয়েছেন চিঠি।এর পাল্টা দিতে গিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে রটানোর চেষ্টা চলছে যে, বিরোধীরা গরীব বিরোধী। তাই দরিদ্রদের জন্য নেওয়া প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে তারা। কংগ্রেস এই আবহে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল।
আজ পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন
নয়াদিল্লি: ২০২৪ সালেরর লোকসভা নির্বাচনের আগে রয়েছে সেমিফাইনাল অর্থাৎ পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। সেই ভোটের দিন আজ ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। ভোটের তারিখ, কত দফায় ভোট হবে এবং মনোনয়ন জমা দেওয়ার এবং প্রত্যাহারের তারিখ ঘোষণা করার জন্য পোল প্যানেল আজ দুপুর ১২ টায় একটি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে।
মিজোরাম, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং তেলেঙ্গানায় চলতি বছরের শেষে হবে বিধানসভা নির্বাচন। এই পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভার মেয়াদ ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৪সালের জানুয়ারির মধ্যে শেষ হওয়ার হবে। নির্বাচন কমিশন সাধারণত বিধানসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার ছয় থেকে আট সপ্তাহ আগে নির্বাচনের সময়সূচী ঘোষণা করে। লোকসভার আগে আসন্ন পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি), প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস এবং আঞ্চলিক দলগুলি সহ সমস্ত প্রধান রাজনৈতিক দলগুলির জন্য একটি বড় পরীক্ষা হবে।
জানিয়ে রাখা ভাল, পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে রাজস্থান ও ছত্তীশগড় দুটিতে কংগ্রেস ক্ষমতায় রয়েছে, বিজেপি মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতাসীন দল। কেসিআর-এর নেতৃত্বাধীন ভারত রাষ্ট্র সমিতি তেলেঙ্গানায় ক্ষমতায় রয়েছে এবং মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট (এমএনএফ) মিজোরামে ক্ষমতায় রয়েছে। এর আগে নির্বাচন কমিশন বলেছিল যে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ভোটগ্রহণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একদিনেই ফলপ্রকাশ হতে পারে বলেই জানা যাচ্ছে।