মহানগর ডেস্ক: মহা সপ্তমীর ঝাকে ঝাকে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে মহানগরী থেকে জেলার রাস্তায় নেমেছে মানুষের ঢল। দু’বছর পর প্রাণ খোলা দুর্গাপুজোর স্বাদ আস্বাদন করা থেকে বিরত রাখা যায়নি দর্শনার্থীদের। আর উদ্যোগ তারা মনে করছেন অষ্টমী এবং নবমীতে মানুষের ভিড় দিগুন থেকে দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু সেই আশায় বাদ শানতে চলেছে ভিলেন বৃষ্টি।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী ইতিমধ্যেই একটি ঘূর্ণাবর্ত পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। তারমধ্যে উত্তর-পূর্ব সংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে সোমবার আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। কার্যত দক্ষিণবঙ্গের বাতাসকে গ্রাস করবে জলীয় বাষ্প। এর ফলে বৃষ্টিতে ভাসবে শহর থেকে গ্রাম। হবে। বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গে উপকূলবর্তী চার জেলা, দুই মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় অষ্টমী এবং নবমীর দিন ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বাকি প্রায় সব জেলাতেই মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে হাওয়া অফিস বলছে আগে থেকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণাবর্তটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার শক্তি কিছুটা হলেও হারিয়েছে। কিন্তু অষ্টমীতে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়লেও নবমী থেকে কমতে শুরু করবে বৃষ্টি। দশমীতে আরও কমবে। তবে কিছু এলাকায় প্রবাল বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই দুর্যোগ চলাকালীন মণ্ডপ শুন্য রাখার পরামর্শ দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
অষ্টমী এবং নবমীতে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া: এই দুদিন কলকাতায় মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। তাছাড়া উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদের কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হবে বলে জানা যাচ্ছে।
অষ্টমী এবং নবমীতে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া: উত্তরবঙ্গেও অষ্টমী-নবমী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। অক্ষরেখার জন্য কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে সোম ও মঙ্গলবার। তাছাড়া মালদা ও দুই দিনাজপুরেও হতে পারে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত।
সোমবার কলকাতা ও আপেশাপাশের এলাকার দিনের আকাশ থাকবে প্রধানত মেঘাচ্ছন্ন। বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ থাকবে ৯০ শতাংশের কাছাকাছি।