HomeBengal৫০৪ কোটি টাকার আটা নয়ছয়! চাঞ্চল্যকর তথ্য বাকিবুর রহমানের বিরুদ্ধে

৫০৪ কোটি টাকার আটা নয়ছয়! চাঞ্চল্যকর তথ্য বাকিবুর রহমানের বিরুদ্ধে

- Advertisement -

মহানগর ডেস্ক: রেশনের চাল চুরির পাশাপাশি ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান গরিবের আটা নিয়েও ৫০৪ কোটি টাকার নয়ছয় করেছেন। এমনটাই রেশন দুর্নীতি মামলার চার্জশিটে দাবি করেছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, নিখুঁত পরিকল্পনামাফিক পাহাড় প্রমাণ রেশন দুর্নীতি চলছিল ২০১১ সাল থেকে। তদন্তকারী অফিসাররা এখনও পর্যন্ত চাল ও আটা মিলিয়ে ১০০০ কোটি টাকার বেশি আর্থিক তছরুপের হদিশ পেয়েছেন।যা অঙ্কের হিসাবে শিক্ষা ও পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতিকেও টক্কর দিতে পারে।

রাজ্যের খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকদের একাংশ এবং ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানের যোগসাজশে ২০১১ সাল থেকে খাদ্য সামগ্রীর টাকা আত্মসাতের ‘খেলা’ শুরু হয়।ইডির চার্জশিটে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। আটা ও চাল চুরির কারবার আরও বেড়েছে কোভিড পর্বে।শুধু তাই নয়,তদন্তকারীদের দাবি, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত চলেছে এই কারবার!

ইডির চার্জশিটে জানানো হয়েছে, “যে পরিমাণ গম ভাঙিয়ে আটা রেশন মালিক বা ডিস্ট্রিবিউটারদের সরবরাহের কথা ছিল, মিল মালিক বাকিবুর সেই নিয়ম মানেননি। এফসিআই-এর গোডাউন থেকে গম আসার পর বাকিবুরের এনপিজি রাইস মিলে তা ভাঙানো হতো। এর পর প্রতি কুইন্টালে একেবারে হিসেব কষে চুরি করা হতো আটা।” ইডি চার্জশিটে আরও দেখিয়েছে, বাকিবুর গরিবের আটা চুরি করে খোলা বাজারে বেচে মুনাফা করেছেন মোট সরবারহের ২৫.৫৫ শতাংশ -প্রায় ৫০৪ কোটি টাকা যার আনুমানিক বাজার মূল্য!

শুধু তাই নয়,ইডি দাবি করেছে, সরকারি চুক্তি থাকলেও, বাকিবুরের এনপিজি রাইস মিল থেকে রেশন মালিক এবং ডিস্ট্রিবিউটারদের কাছে ৮৮ লক্ষ ২৭ হাজার ২৩০ কুইন্টাল আটা যায়নি। কিন্তু ট্রান্সপোর্ট এবং প্যাকেজিংয়ের নামে গম থেকে আটা তৈরি থেকে শুরু করে ওই বিপুল পরিমাণ আটা বাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন বাকিবুর রহমান।আবার খাদ্যদপ্তর থেকে খাতায় কলমে সেটা রেশন মালিকদের কাছে পাঠানো হচ্ছে বলে দেখিয়ে টাকাও নিয়েছেন তিনি।

Most Popular