মহানগর ডেস্ক : লোকসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। এদিকে পরিবর্তন নেই ভাঙড়ের। এবার শওকত মোল্লার গ্রেফতারের দাবিতে পোস্টারিংয়ের ঘটনায় ছড়ালো ব্যাপক চাঞ্চল্য।ভাঙড় বিধানসভার পোলেরহাট থানার শ্যামনগর এলাকায় ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লার নামে একাধিক পোস্টার পড়েছে। ওই এলাকায় অশান্তির কারিগর শওকত বলে দাবি তুলে একাধিক পোষ্টার পড়েছে। পোলেরহাট ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সেই ছবি সকলের নজরে এসেছে যা নিয়ে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।
পোস্টারের সঙ্গে লেখা হয়েছে ক্যানিং ও জীবনতলা থেকে লোক এনে ভাঙড়ে সন্ত্রাস করে খুন করল। সেই খুনের দায়ে আরাবুল জেলে, শওকত মোল্লা বাইরে থাকবে কেন? প্রশাসন জবাব দাও। আর একটি পোষ্টারে লেখা,মুখ্যমন্ত্রী দ্বারা স্বীকৃত বোমা, গুলির মাস্টারমাইন্ড শওকত মোল্লার ভাঙড়ে ঠাঁই নাই এখানেই শেষ নয়, পোস্টারে আরও লেখা হয়েছে,সুগত বসু, কবীর সুমন, মিমি চক্রবর্তী সাংসদ হয়ে ভাঙড়ে কি কাজ করেছেন সায়নী ঘোষ, শওকত মোল্লা জবাব দাও। শওকত বিরোধী একাধিক ধরনের বিদ্বেষমূলক পোস্টার পড়েছে হাড়োয়া রোডে।
শনিবারের এই ঘটনায় কাঠগড়ায় নওশাদ সিদ্দিকীর দল। ঘটনার পিছনে আইএসএফের হাত রয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। কারণ এই আইএসএফের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক শওকত মোল্লার সম্পর্ক আদায় কাঁচকলায়। পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে দু’পক্ষের মধ্যে দ্বৈরথ চলছে। তবে স্থানীয় সূত্রে খবর, পোলেরহাট ২ পঞ্চায়েত এলাকা জমি কমিটির আঁতুড়ঘর বলেই পরিচিত। তবে আইএসএফ শ্যামনগর এলাকায় যথেষ্ট শক্তি অর্জন করে রয়েছে। ফলে ওই এলাকায় শওকতের বিরুদ্ধে এমন বিদ্বেষমূলক পোস্টার লাগানোর পিছনে জমি কমিটি নাকি আইএসএফ যুক্ত সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে