মহানগর ডেস্ক : সোমবার তমলুকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি সভা আছে। ওই সভায় অভিষেকের বেহালা ফ্লাইং ক্লাব থেকে তমলুক পৌঁছবার কথা। সেই কারণে বেহালা ফ্লাইং ক্লাবে যখন রবিবার অভিষেকের হেলিকপ্টারের ট্রায়ল রান হবে তখনই আয়কর দফতরের লোকজন এসে কপ্টারে তল্লাশি শুরু করে। অভিষেকের ব্যাগ এবং কপ্টারে থাকা অন্যান্য জিনিসপত্র তারা তল্লাশি করতে শুরু করে। এই সময় অভিষেকের নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে আয়কর দফতরের আধিকারীকদের বচসা বেধে যায়। তবে এই আয়কর তল্লাশির পর কিছুই পায়নি আয়কর আধিকারিকরা।
এদিকে এই তল্লাশির কিছুক্ষণের মধ্যেই নিজের এক্স হ্যান্ডেলে অভিষেক লেখেন, “এনআইএ-র ডিজি এবং এসপিকে সরানোর বদলে নির্বাচন কমিশন এবং বিজেপি আজ তাদের ধামাধারী আয়কর দফতরের আধিকারিকদের পাঠিয়েছিল আমার হেলিকপ্টারে তল্লাশি চালাতে। যদিও তাতে কোনও লাভ হয়নি। কারণ কিছুই পাওয়া যায়নি।”
অভিষেক তাঁর এই সোশাল মিডিয়া পোস্টে স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেন, বাংলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়তে ভয় পাচ্ছে বিজেপি। তাই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে তৃণমূলের নেতা,কর্মীদের হেনস্থা করার চেষ্টা করছে। ওরা জানে যে বাংলায় লোলসভা নির্বাচনে হারবে, তাই ভয়ে এসব করছে। বাংলার মানুষ বিজেপির এই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের সামনে মাথা নীচু করবে না।
এদিকে অভিষেকের কপ্টারে আয়কর তল্লাশি প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “নির্বাচন কমিশম বলোছে হেলিকপ্টারে তল্লাশি করতে তাই করেছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য কি দেশে নতুন নিয়ম হবে নাকি?”
আয়কর দফতর সূত্রে জানা যায় রবিবার বেলা ৩টে নাগাদ আয়কর দফতরের আধিকারিকরা অভিষেকের কপ্টারে তল্লাশি চালাতে আসে। বেহালা ফ্লাইং ক্লাবের পেছনের দরজা বন্ধ করে দেয় আয়কর দফতর। বেহালা ফ্লাইং ক্লাবে চলে আসে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা। এই সময় অভিষেকের নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে বাদানুবাদ হয় আয়কর দফতরের আধিকারিকদের।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “এনআইএ-র ডিজি এবং এসপিকে অপসারণ না করে আমাদের বিরুদ্ধে অভিসন্ধি মূলক ভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অভিযান চালিয়ে হেলিকপ্টারে কিছুই পাওয়া যায়নি। শুধুই সময় নষ্ট করার জন্য এাব করা হচ্ছে।” অভিষেকের সোশ্যাল মিডিয়ার এই পোস্টে বিজেপিকে জমিদার আখ্যা দিয়ে অভিষেক লেখেন, “এতো কিছুর পরেও বাংলার মানুষকে দমিয়ে রাখা যাবে না।”
বেহালা ফ্লাইং ক্লাবের বাইরে কলকাতা পুলিশের বড় বাহিনী রয়েছে। ফ্লাইং ক্লাবের ভেতরে রয়েছেন আয়কর এবং জাতীয় নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা।