মহানগর ডেস্ক : মকর সংক্রান্তিতে ঠান্ডা আর কুয়াশায় জড়োসড়ো বাংলা। তারমধ্যেই জেলায় জেলায় চলছে মকর সংক্রান্তির পুণ্য স্নান। সংক্রান্তির দিন আসানসোলের দামোদর, অজয় ও বরাকর নদীতে স্নান করার জন্য পণ্যার্থীরা ভিড় জমিয়েছেন সকাল থেকেই। ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডা হওয়ার দাপটকে উপেক্ষা করে পণ্যার্থীরা ভোর হতেই পৌঁছে যান নদীতে। বেলা বৃদ্ধিে সঙ্গে ভিড়ও বেড়েছে নদীতে। আজকে আরও এক ডিগ্রি কমে তাপমাত্রা ৯-এর এসে নেমেছে। পৌষ সংক্রান্তির সকাল থেকেই কুয়াশাচ্ছন্ন আসানসোল। সঙ্গে রয়েছে ঠান্ডা হাওয়া। সব জায়গাতেই দৃশ্যমানতা অনেকটা কম সেটাই লক্ষ করা যাচ্ছে। তবে তার মধ্যেই দামোদর নদে মকর স্নানে পুণ্য ডুব দিচ্ছেন পুণ্যার্থীরা।
প্রতিছবির প্রতিফলন ধরা পড়েছে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলেও। ঘন কুয়াশায় ঢেকেছে সূর্য। তবে ঠান্ডাকে উপেক্ষা করে অজয় নদে স্নান করতে নেমেছেন হাজার হাজার ভক্ত। কবি জয়দেবের ডাকে সাড়া দিয়ে অজয় নদ বেয়ে চলেছেন মা গঙ্গা। আজকের দিনে সেখানেই পণ্যস্নান করে রাধা বিনোদের মন্দিরে পুজো দিয়েছিলেন। তারপর থেকেই পণ্য অর্জনের আশায় প্রতিবছর মকর সংক্রান্তিতে অজয়ের জলে পুণ্যস্নানে আসেন পুণ্যার্থীরা। এবছরও সূর্যের আলো ফোটার আগে থেকেই পুণ্য অর্জনের আশায় অজয়ের জলে ডুব দিচ্ছেন অনেকেই। ড্রোন ক্যামেরায় এবং জলপথে চলছে কড়া নজরদারি। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিস এবং স্বেচ্ছাসেবক। বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান জেলার হাজার হাজার মানুষ এই জয়দেব কেন্দুলি মেলায় অংশ নিয়েছেন।
অন্যরূপ নজরে আসছে উত্তরে জলপাইগুডি জেলায়। প্রবল ঠান্ডার মধ্যেই কাকভোর থেকে প্রত্যেক বাড়িতে বাড়িতে সপরিবারে স্নান সেরে সূর্য পুজো মগ্ন হয়েছেন প্রত্যেকে। জেলা জুড়ে শীতের দাপট। কুয়াশার আচ্ছাদনে গোটা জেলা। কয়েকদিন ধরেই জলপাইগুডির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ থেকে ১০ ডিগ্রি আশপাশে ওঠানামা করছে। ঠান্ডায় জবুথবু জলপাইগুডিবাসী। আজ মকর সংক্রান্তির সকাল থেকে সূর্যের দেখা নেই। প্রবল কুয়াশায় সব জায়গায়ই দৃশ্যমানতা কম রয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে কুয়াশার দাপটও। জলপাইগুড়ি বাসিন্দারা ঘরে ঘরে মকর সংক্রান্তি পুজো শুরু হয়েছে সোমবার ভোর থেকেই। এই দিনটি বিশেষত পৌষ সংক্রান্তি বা পৌষ পার্বণ নামে পরিচিত। বাড়িতে আলপনা দেওয়ার ঢলের সাথে সাথে হচ্ছে পুজো। ঘরে ঘরে রকমারি পিঠে-পুলি-পায়েস তৈরি করে নতুন মাসকে সাদর আমন্ত্রন জানানো হচ্ছে।