মহানগর ডেস্ক : ভূপতিনগরে এনআইএ-র ওপর হামলাকারীদের উলটো করে ঝুলিয়ে সোজা করা হবে। বুধবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের সমর্থনে বুনিয়াদপুরে ভোট প্রচারে এসে এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন তিনি বলেন, গোটা দেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে গেলেও কাটমানিওয়ালাদের জন্য বাংলা পিছিয়ে পড়ছে। ভোট ঘোষণার পর প্রথম বাংলায় নির্বাচনী সভা করতে এসে তৃণমূলকে এভাবেই নাম না করে সতর্ক করলেন অমিত শাহ।
বুনিয়াদপুরের জনসভা থেকে বুধবার অমিত শাহ বলেন, “২০২২ সালে ভূপতিনগরে একটা বোমা বিস্ফোরণ হয়েছিল। ৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আমাকে বলুন বোমা বিস্ফোরণ যারা করে তাদের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ করে জেলে ভরা উচিত কি উচিত নয়? তার তদন্ত হাইকোর্ট এনআইএ কে দিয়েছে। আর মমতা দিদি এনআইএ-র বিরুদ্ধে কেস করে বোমা বিস্ফোরণ যারা করেছে তাদের রক্ষা করার চেষ্টা করছেন। মমতা দিদি লজ্জা লজ্জা। আপনি বোমা বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের বাঁচাতে চাইছেন।” এর পরই হুঁশিয়ারি দিয়ে অমিত শাহ বলেন, “বাংলার বাসিন্দাদের বলছি, আপনারা চিন্তা করবেন না। হাইকোর্ট এনআইএ কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। সবাইকে উলটো করে ঝুলিয়ে সোজা করে দেওয়া হবে।”
বাংলার উন্নয়ন প্রসঙ্গে অমিত শাহ বলেন, “এক সময় বাংলায় রবীন্দ্র সংগীত শোনা যেন, এখন বোমা বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা যায়। বাংলায় কোনও শিল্প আসে না। কোনও উন্নয়ন হয় না। গোটা দেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে গিয়েছে। আমাদের বাংলা ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে। সময় এসে গিয়েছে, এবার তৃণমূলের কাটমানিওয়ালাদের রাস্তা দেখানোর।” এদিন সিএএ নিয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে অমিত শাহ বলেন, সিএএ নিয়ে উদ্বাস্তদের ভুল বোঝাচ্ছেন মমতা দিদি। উদ্বাস্তুদের আশ্বস্ত করে অমিত শাহ বলেন, “নির্ভয়ে যত উদ্বাস্তু এসেছেন সিএএ-তে আবেদন করুন। কারও ওপরে কোনও কেস হবে না। এটা মোদী সরকারের আইন। এতে কেউ বদল আনতে পারবে না। মমতা দিদি, যত বিরোধিতা করতে চান করুন। আমরা যত হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ উদ্বাস্তু এসেছেন তাদের সবাইকে নাগরিকত্ব দেব। এটা আমাদের প্রতিশ্রিতি।”
এই প্রসঙ্গে মমতাকে অমিত শাহর প্রশ্ন, “আমি মমতা দিদির কাছে প্রশ্ন করতে চাই। যে হিন্দু – বৌদ্ধ – শিখ উদ্বাস্তুরা এসেছেন তারা নাগরিকত্ব পেলে আপনার কী সমস্যা? একদিকে অনুপ্রবেশকারীদের লাল কার্পেট পেতে স্বাগত জানাচ্ছেন, রোহিঙ্গাদের স্বাগত জানাচ্ছেন, উলটো দিকে যে হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ উদ্বাস্তুরা এসেছেন, তাদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন? দিদি এতে চিঁড়ে ভিজবে না। মোদীজি রুলস নোটিফাই করে দিয়েছেন। বাংলার সমস্ত উদ্বাস্ত নির্ভয়ে আবেদন করুন। এই দেশে আমার যতটা অধিকার, ততটা অধিকার আপনারও।”