মহানগর ডেস্ক: রঙিন আলো,কেকের গন্ধ,ক্রিসমাস বেলের টুংটাং আওয়াজ জানান দিয়েছে সান্তা আসছে। পুরো শহর ফেস্টিভ মুডে। প্রস্তুতি একদম শেষ পর্যায়ে। আর কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। আমজনতা মাতবে আরও এক জনজোয়ারে।
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রধান উৎসব হলেও,বড়দিনের আনন্দ ছড়িয়েছে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে। বড়দিনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে নানান গল্প। সান্তার জন্য জানালাতে মজা ঝোলানো থেকে শুরু করে ক্রিসমাস ট্রি, জিঙ্গেল বেল, ক্রিসমাস ক্যারল – এরকম বেশ কিছু প্রচলিত গল্প মনে আসে এই দিনটির সাথে। বিশেষ করে বাড়ির ছোটরা ২৪শে ডিসেম্বর রাতে জানালা,বালিশের নিচে মজা রাখে। সান্তাদাদুর রঙিন উপহার এর অপেক্ষায়। কিন্তু জানেন কেন এই রীতি? এক গরীব বাবার তিনটি রাজকন্যা ছিল। তাদের বিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য ছিলনা বাবার। আর্থিক অনটন নিত্যসঙ্গী হওয়ায় মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার চিন্তায় দিশাহীন বাবাকে আলো দেখিয়েছিলেন সেন্ট নিকোলাস। বড়দিনের রতেই ব্যাগভর্তি সোনা রেখে দিয়ে যান তাঁর দরজার সামনে। মনে করা হয় এভাবেই সান্তা সকলের মনের ইচ্ছা চুপিসারে পূরণ করেন। প্রশান্তি,আনন্দ রেখে যান মজার ভেতরে।
ক্রিসমাস ট্রি ছাড়াও বড়দিন ভাবা যায়না। মনে করা হয় এই গাছ নেতিবাচক শক্তিকে সরিয়ে বাড়ির মধ্যে সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি করে। এই গাছ উৎসবের আমেজ শুভ শক্তিকে বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। এবং বয়ে আনে সৌভাগ্য ও অনাবিল আনন্দ।