মহানগর ডেস্ক: রাজীব কুমারকে সোমবার সরিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন। সেই জায়গায় রাজ্যের নতুন ডিজি করা হয় বিবেক সহায়কে। সেই বদলের ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই ফের বদল করা হল ডিজি-কে। বিবেক সহায়ের জায়গায় নতুন ডিজিপি হলেন সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়। তিনি ১৯৮৯ সালের আইপিএস ব্যাচের।
নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে মঙ্গলবার বিকাল ৫টার মধ্যে তাঁকে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে হবে বিবেক সহায়কে।গতকালই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মোতাবেক রাজ্যের মুখ্য সচিব বি পি গোপালিকা ডিজিপি হিসেবে বিবেক সহায়, সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, রাজেশ কুমারের নাম প্রস্তাব করে পাঠায়। সোমবার ওই তিনজনের নামের মধ্য থেকে সোমবার বিবেক সহায়ক ডিজিপি করার বিষয়ে চুড়ান্ত সিলমোহর দেয় কমিশন। মঙ্গলবারই আবার কমিশন বিবেক সহায়ক সরিয়ে রাজ্যের ডিজিপি পদে সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়কে বসলো।
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় ১৯৮৯ ব্যাচের আইপিএস, বর্তমানে তিনি দমকলের ডিজি-র দায়িত্বে আছেন। আজ বিকেল ৫টার মধ্যে সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়কে ডিজিপি-র দায়িত্ব নিতে নির্দেশ কমিশন। কমিশনের এই সিদ্ধান্তের পর রাজ্যের একদিনের ডিজিপি তকমা বসে গেল বিবেকের নামের পাশে। তথ্য বলছে বিবেক সহায় হচ্ছেন রাজ্যের সবচেয়ে কম সময়ের ডিজিপি। রাজীব কুমারকে সোমবার যখন সরানো হয়, তাঁর সিনিয়রকে ডিজিপি করার কথা বলা হয়। তার পরে বিবেক সহায় এবং রাজেশ নামও পাঠানো হয় রাজ্যের তরফে। তবে সঞ্জয় তিন জনের মধ্য থেকে সঞ্জয় মুখোপাধ্যাকেই বেছে নিল কমিশন। প্রসঙ্গত আগামী ৩১ মে অবসর নিচ্ছেন বিবেক। লোকসভা নির্বাচনের গোটা প্রক্রিয়া শেষ হচ্ছে ৪ জুন। সেই কারণেই সম্ভবত বিবেক সাহায্যের বদলে সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়কে ডিজিপি পদে বসলো জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় এর আগে, রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের অর্থাৎ সিআইডি-র এডিজি পদে। নির্বাচন কমিশন দিয়েছে, বাংলায় লোকসভা নির্বাচন সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানেই হবে। রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, তিনি রাজ্যের শাসকদলের হয়ে কাজ করছেন। সেই অভিযোগ বিরোধীরা নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের সঙ্গে বৈঠকের দিন জানিয়ে ছিলেন। তাই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নজরে ছিলেন রাজীব কুমার। এ ছাড়াও বাংলায় এসেও কড়া বার্তা দিয়ে গিয়েছিল জাতীয় মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে কলকাতায় বলেছিলেন রাজ্যে নির্বাচনে পুলিশের কোনও গাফিলতি হলে তার দায় ডিজিপি-র উপর বর্তাবে। এর পরই রাজীব কুমারকে সরিয়ে একদিনের জন্য বিবেক সহায়ক এ রাজ্যের ডিজিপি-র পদে াণ হয়। শেষ পর্যন্ত সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়কেই চূড়ান্ত ভাবে ডিজিপি পদে বসলো জাতীয় নির্বাচন কমিশন। যদিও মঙ্গলবার সকালেই কমিশনের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েন। তিনি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নির্বাচন করানোর দাবি তুলেছেন। কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার কোনও নিরপেক্ষতা রাখছে না বলেও তিনি অভিযোগ করেছেন। সরকারি বিমানে চেপে প্রচারে যাচ্ছেন।