মহানগর ডেস্ক: প্রযুক্তির দৌলতে (Technology) আজকের দিনে মানুষের জীবনে বহু কাজ যেমন সহজ হয়ে উঠেছে,তেমনই দেখা দিয়েছে নানা সমস্যাও। প্রায়ই বড় রকমের প্রতারণার শিকার হতে হচ্ছে অনেককে। নানা সুবিধে পাইয়ে দেওয়ার নামে সন্দেহজনক অ্যাপ ডাউনলোড করে লক্ষ লক্ষ টাকা খুইয়েছেন বহু মানুষ। আর ডেটিং অ্যাপের ফাঁদে (Dating App Fraud) পড়ে গুরুগ্রামের এক ব্যক্তি খোওয়ালেন দু লক্ষ টাকা।
বাম্বল ডেটিং অ্যাপে এক তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে গিয়ে তার ওই টাকা গায়েব হয়ে যায়। পরে জানা যায় তরুণীটি আসলে প্রতারক। সংবাদসংস্থার রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে গত বৃহস্পতিবার এই প্রতারণাকাণ্ডে এক তরুণীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শারীরিক হেনস্থার নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করে টাকা নেওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে ওই ব্যক্তির সঙ্গে তরুণীটির আলাপ হয়। তার এক সহকারীর সাহায্যে ওই ব্যক্তির কাছে দু লক্ষ টাকা দাবি করে। তবে তার আগেই বুধবার টাকা লেনদেনের সময় পুলিশ তরুণীর সঙ্গীকে হাতেনাতে পাকড়াও করে।
এরপর ওই তরুণী ও তার সঙ্গীর বিরুদ্ধে এফআইআর করে পুলিশ। একই কায়দায় তারা পাঁচ জনকে মিথ্যে ধর্ষণ ও শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ করে টাকা আত্মস্যাৎ করে। আরও আগে আরও পাঁচজনকে প্রতারণা করে বলে তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ।
অভিযুক্ত তরুণীর নাম বিনীতা কুমারী। বাড়ি বিহারে। তার সঙ্গীর নাম মহেশ ফোগত, রোহতক জেলার ভালোথ গ্রামে তার বাড়ি। মহেশ একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে কাজ করে। দুজনের মধ্যে বাম্বলে ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে পরিচয় হয়। মে মাসের শেষাশেষি ওই তরুণী গুরুগ্রামের বাসিন্দাকে একটি হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে জোর করে বিয়ার খাওয়ানোর চেষ্টা করে।
তবে তরুণীর হাবভাব দেখে ওই ব্যক্তি বুঝতে পারে তাকে ফাঁদে ফেলা হচ্ছে। দ্রুত সে হোটেল ছেড়ে চলে যায়। এরপর ওই তরুণী তাকে ফোন করে জানায় সে তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে এবং শারীরিকভাবে হেনস্থা করেছে। এমনকী পুলিশে অভিযোগ করারও হুমকি দেয়।
এরপরই মহেশ ব্যাপারটা মিটিয়ে ফেলতে পাঁচ লক্ষ টাকা দাবি করে। শেষপর্যন্ত দু লক্ষ টাকায় রফা হয়। ওই ব্যক্তি দুজনকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দেওয়ার পর বাকিটা তাড়াতাড়ি দেওয়ার কথা জানায়। এরপর ওই ব্যক্তি ঘটনাটি পুলিশকে জানানোর পর দুজনকে ধরার জন্য ফাঁদ পাতে পুলিশ। একটি মন্দিরের কাছে দুজনকে টাকা দেওয়ার জন্য ডাকা হয়। সেখানে টাকা দেওয়ার সময় দুই প্রতারককে ধরে ফেলে পুলিশ।