মহানগর ডেস্ক: লোহার রড,হাতুড়ি দিয়ে মার। পাশাপাশি জামাকাপড় ছিড়ে ভিডিওয় নগ্ন ছবি তোলা। গুরুগ্রামের তেরো বছরের গৃহকর্মীর ওপর অকথ্য অত্যাচার মাস কয়েক ধরে চালিয়ে যাচ্ছিল মালকিনের পরিবার। নাবালিকা গৃহকর্মীর মায়ের অভিযোগ, যে ফ্ল্যাটে তাঁর মেয়ে কাজ করতো,সেই ফ্ল্যাটের মালকিন তার ওপর প্রায়ই এমন অমানবিক অত্যাচার চালাতেন। মারধর করা হতো লোহার রড,হাতুড়ি দিয়ে। মালকিনের দুই ছেলে মেয়ের নগ্ন ছবি তুলতে জোর করে জামাকাপড় ছিড়ে দেয়। এমনকী তার শরীরে আপত্তিকরভাবে স্পর্শ করে।
এমন পাশবিক অত্যাচারের কথা থানায় জানান নাবালিকার মা। এখানেই শেষ নয়। মেয়ের মুখে টেপ লাগিয়ে ঘরে তালাবন্দি করে রেখেছিলেন মালকিন যাতে সে চিৎকার করে কারোকে কিছু জানাতে না পারে। শনিবার ফ্ল্যাটে নাবালিকার মা যাওয়ার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। গৃহকর্মীর মা জানিয়েছে আটচল্লিশ ঘণ্টায় একবার মাত্র নাম কে ওয়াস্তে খাবার খেতে দেওয়া হতো। এসবের পাশাপাশি গৃহকর্মীর হাতে অ্যাসিড ঢেলে হুমকি দেওয়া হয় সে যদি কারোকে এসব কথা জানানো হয়,তাহলে তাকে খুন করা হবে। এসব কথা এফআইআরে জানান নিগৃহীতার মা।
বিহারের বাসিন্দা নাবালিকা জুনের সাতাশ তারিখে শশী শর্মা নামে মহিলার বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে যোগ দেয়। তাকে এক গাড়ি পরিষ্কারের কাজ করা লোক তাকে নিয়ে আসে। অভিযুক্ত পরিবার জানায় তাকে তাদের সঙ্গে থাকতে হবে। এজন্য তাকে ন হাজার টাকা বেতন দেওয়া হবে। প্রথম দু মাস তাকে বেতন দেওয়া হয়। নাবালিকার মা জানিয়েছেন তিনি মেয়ের সঙ্গে দেখা করার জন্য একাধিকবার গেলেও তাঁকে তাঁর সঙ্গে কোনওভাবেই দেখা করতে দেওয়া হয়নি। এমনকী ফোনেও কথা বলার অনুমতি দেননি বলেনি বলে নাবালিকার অভিযোগ। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শশী শর্মা ও তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে মহিলার শ্লীলতাহানি,অপরাধমূলক অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনজনের বিরুদ্ধে পকসো আইনের ধারায় মামলা শুরু করেছে পুলিশ।