মহানগর ডেস্ক: প্রতারণার নিত্যনতুন ছক। আর সেই ছককে কাজে লাগিয়ে মোটা টাকা আদায়ের চেষ্টা। বাড়িতে মহিলা অসুস্থ বলে ফোন করে বাড়ি ডেকে পাঠানো হয়েছিল এক ব্যক্তিকে। কিন্তু সেখানে গিয়ে শরীর খারাপের কোনও নামগন্ধ পাননি তিনি। তারপর জোর করে তাকে যৌনকর্মে লিপ্ত করা হয়।
ভিডিওয় তোলা হয় ছবি (New Scheme Of Honey Trap)। ছবি তোলার পর চক্রের লোকেরা তার কাছে প্রথম দফায় সত্তর হাজার টাকা দাবি করে। না দিলে ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে। রাজস্থানে এমন এক নতুন কায়দায় মধুচক্রের পর্দাফাঁস করল হনুমান জংশন থানার পুলিশ (Police Busted Honey Trap Racket)। মধুচক্রের অভিযোগ পেয়ে ফাঁদ পাতে পুলিশ। তারপর চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। এই চক্রে কৃষ্ণা লালের বোন,মা ও আরেক মহিলাকে জালে তোলে পুলিশ। তারা একই ধরণের মধুচক্রে জড়িত আরও কয়েকজনকে গ্রেফতার করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, শুধু হনুমানগড়ই নয়, গোটা রাজস্থান জুড়ে এধরণের মধুচক্র অত্যন্ত সক্রিয় হয়ে উঠেছে। দিন কয়েক আগে মধুচক্রে নামে প্রতারণার ঘটনায় এক মহিলা-সহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা এক ব্যক্তিকে যৌনকর্মে লিপ্ত করে আট লক্ষ টাকা দাবি করে। মধুচক্রের শিকার ওই ব্যক্তিকে দিয়ে জোর করে একটি হলফনামায় সই করায়। চক্রটি বাড়ির মহিলাকে অসুস্থ সাজিয়ে ফাঁদে ফেলে মোটা টাকার আদায়ের কৌশল নেয়।
অভিযুক্তকে যৌনকর্মে জোর করে লিপ্ত করে ভিডিও তুলে টাকা দাবি করার কৌশল চালায় চক্রের লোকজনেরা। পুলিশ এই মুহূর্তে এই মধুচক্রের লোকজনদের গ্রেফতার করার ব্যাপারে তৎপর হয়ে উঠেছে। চক্রের লোকজনদের গ্রেফতার করে পুলিশ মধুচক্রের পর্দাফাঁসের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পরিবারের কোনও মহিলা বা পারিবারিক সমস্যায় ডেকে যৌন কর্মে লিপ্ত করে টাকা আদায়ের ঘটনা নিয়ে কপালে চওড়া ভাঁজ পড়েছে প্রশাসনের।