নিজস্ব সংবাদদাতা: বাড়ির বধূ প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়ার জড়িয়ে পড়েছিলেন। ঠিকই চলছিল তবে মাঝে ঘটে বিপত্তি। খুনের অভিযোগ উঠেছে প্রেমিকের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় পতেবেশী যুবক বধূর খুনের প্রমাণ লোপাট করার জন্য তার দেহ লুকিয়ে সৎকার করার চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ। যুবকটির দাবি করেন মহিলাটি আত্মহত্যার চেষ্টা চালালে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু তাকে বাচাঁনো সম্ভব হয়নি।
যুবককের নাম জয়ন্ত সাহা যাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এই ঘটনাটি নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানার আমতলায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে মৃতার নাম মৌসুমী সর্দার। তিনি এই আমতলায় বাসিন্দা। গত ছয়বছর ধরে এই জয়ন্তের সাথে পরকীয়া করছিলেন এই মৌসুমী। জয়ন্ত একটি ওষুধের দোকানের মালিক। সে থাকে উস্তিতে। মৌসুমীর শ্বশুরবাড়ির লোকের পুলিশকে বলেন যে মৌসুমীকে খুন করা হয়েছে ।এরপর তাঁকে জয়ন্ত এবং তার কয়েকজন বন্ধু মিলে তাকে সৎকারের জন্য নিয়ে যায় শ্মশানে। মৌসুমীর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা সেখানে চলে যায়। মৃতার পরিবার মৌসুমীর দেহের ময়নাতদন্ত এবং জয়ন্তকে গেফতার করার দাবি করে। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ বিক্ষোভের সম্মুখীন হয়।আমতলাতে জয়ন্তর দোকানে ভাংচুর চলে। এরপর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার একটি হাসপাতালে মারা যায় মৌসুমী।একদিকে জয়ন্ত দাবি করেন যে মৌসুমী আত্মহত্যা করেন এবং অন্যদিকে মৌসুমীর শ্বশুরবাড়ির লোকজন দাবি করেন যে তাকে খুন করা হয়েছে।মৃতের মেয়ের নাম সায়নী সর্দার। মৃতের মেয়ের অভিযোগ যে তার মাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে এবং মায়ের গলায় একটি কাটা দাগ রয়েছে।