মহানগর ডেস্ক: লোকপালের নির্দেশে টাকার বদলে প্রশ্ন বিতর্কে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করল সিবিআই। প্রাথমিক তদন্তের পর তদন্তের ফল মোতাবেক কেন্দ্রীয় সংস্থা ঠিক করবে সাংসদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করবে কিনা। প্রাথমিক তদন্তের অধীনে সিবিআই অভিযুক্তকে গ্রেফতার কিংবা তল্লাশি চালাতে পারবে না। তবে নথি তারা চাইতে পারে। নথি পরীক্ষার পাশাপাশি অভিযুক্ত সাংসদকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে।
যেহেতু লোকপালের নির্দেশের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হচ্ছে তাই রিপোর্ট অ্যান্টি করাপশন বডির কাছে পেশ করা হবে। এই মামলায় সিবিআইয়ের অভিযোগ দায়ের করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জয় অনন্ত দেহাদ্রাই। তিনি অভিযোগ করেছিলেন সংসদে টাকার বদলে প্রশ্ন করার জন্য ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানির কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। আইনজীবী দেহাদ্রাই বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবেকেও চিঠি লিখেছেন। দুবের অভিযোগের ভিত্তিতে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা বিষয়টি এথিকস কমিটির কাছে পাঠান।
বিজেপি সাংসদ লোকপালেও অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এদিকে সিবিআইয়ের তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা নিয়ে তৃণমূল সাংসদ জানান তিনি রীতিমতো মজা পাচ্ছেন এই দেখে যে কোনও চেয়ারম্যান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাছে তাঁর বিষয়টি জানাননি। তত্থ্যাধিকার থেকে জানা গিয়েছে ২০০২ সালের মে মাস থেকে লোকপালে কোনও চেয়ারম্যান নেই। তাদের আট সদস্যের মধ্যে তিন সদস্যের পদ খালি। এক্সে তৃণমূল সাংসদ লিখেছেন তিনি বেশ মজা পাচ্ছেন এই দেখে যে কীভাবে মাথাহীন এবং পূর্ণসময়ের চেয়ারম্যান ছাড়া তাঁর বিষয়টি সিবিআইয়ের কাছে পাঠিয়েছে। এমন হতে পারে ঝাড়খণ্ডের পিটবুল অ্যাসোসিয়েশনের ঝাড়খণ্ড শাখা লোকপাল কমিটি হিসেবে বিজেপির অধীনে পার্টটাইম কাজ করছে।