নয়াদিল্লি: আরও একটি কক্ষপথ পরিবর্তনের প্রক্রিয়া সফলভাবে পার করল চন্দ্রযান-৩। সফলতার সঙ্গে এগিয়ে গেল আরও একটি ধাপ। ইসরোর দেওয়া খবর অনুসারে,এখন চন্দ্রযান-৩ ১৫৩ কিমি x ১৬৩ কিমি কক্ষপথে অবস্থান করছে । এর আগে চন্দ্রযান, চাঁদের আরও কাছে এগিয়ে যায় সোমবার কক্ষপথ পরিবর্তন করে ।
ইসরোর কাছে কঠিন চ্যালেঞ্জ হল নিরাপদে চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান ৩ কে অবতরণ করানো। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দেয় চন্দ্রযান-৩ গত ১৪ জুলাই। এরপর একের পর এক কঠিন ধাপ পার করেছে সে। ইসরো জানিয়েছে, আগে থেকে চন্দ্রযান-৩ এর জন্য যে অরবিট রিডাকশন ম্যান্যুভার পরিকল্পনা করা হয়েছিল সেই পথেই সফলভাবে অগ্রসর হয়েছে ভারতের মহাকাশযান।
আরও পড়ুন: Dead Baby Rat In Chicken Plate: মুম্বইয়ের রেস্তোরাঁয় মাংসের প্লেটে মরা ইঁদুর, থানায় অভিযোগ
এবার প্রপালশন Chandrayaan-3 Updates মডিউল এবং ল্যান্ডার মডিউলের আলাদা হয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতির সময়, এমনটাই জানিয়েছে ইসরো। ISRO-র মূল লক্ষ্য হল, চাঁদের বুকে চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানের সফট ল্যান্ডিং অর্থাৎ পালকের মতো অবতরণ করানো। আগামী ১৭ অগাস্ট, প্রপালশন মডিউল থেকে পৃথক হয়ে যাবে ল্যান্ডার মডিউল, ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা সূত্রে জানা গেছে। আসল কথা হল, চন্দ্রযান-৩ থেকে আলাদা হয়ে যাবে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’। তারপর ২৩ অগাস্ট পালকের মতো হালকা স্পর্শে চাঁদের মাটি ছোঁবে চন্দ্রযান ৩। শেষে ল্যান্ডার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে রোভার ‘প্রজ্ঞান’। চন্দ্রযান ৩ কে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামানো হবে।
এর আগে ২ বার ব্যর্থ হয়েছে ইসরোর চন্দ্রাভিযান। তাই এবার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে জারি করা হয়েছে বাড়তি সতর্কত। গত সপ্তাহে, ISRO চেয়ারম্যান এস সোমনাথ বলেন যে, “অবতরণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় হল যখন ল্যান্ডারের বেগ কমিয়ে ৩০ কিলোমিটার উচ্চতা থেকে চূড়ান্ত অবতরণের পথে নিয়ে আসা হবে। এই সময় মহাকাশযানটিকে অনুভূমিক থেকে উল্লম্ব পথে এনে চাঁদের মাটিতে নামানো হবে।”