মহানগর ডেস্ক : বাবা, মায়েদের যত অপূর্ণ ইচ্ছে সবই তাঁরা তাঁদের সন্তানদের উপর থেকে আদায় করে নিতে চান। তাই অনেক অভিভাবকই চান তাঁর ছেলে বা মেয়ে ১০০ তে ১০০ পাক সব বিষয়ে। এর ফলে ওই পড়ুয়ার নাভিশ্বাস ওঠার উপক্রম হয়। বাবা,মায়ের ইচ্ছে-পূরণ করতে গিয়ে সন্তানদের কাঁধে পর্বত সদৃশ বোঝা চেপে যায়। <span;>এবার দেখা গেল অঙ্কে ২০০-র মধ্যে ২১২ পেল এক পড়ুয়া। অবাক হচ্ছেন? বাস্তবেই ঘটেছে এমন ঘটনা। নেট দুনিয়ায় এমনই একটি মার্কশিট ভাইরাল হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। ক্লাস ফোরের এক পড়ুয়াকে অঙ্কে ২১২ নম্বর দেওয়া হয়েছে। অথচ পরীক্ষা হয়েছিল ২০০ নম্বরে। ছাত্রের মার্কশিট নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
নম্বর বসানোর ভুলে হোক বা গাফিলতি, ছেলের মার্কশিট দেখে চোখ কপালে উঠেছিল মা-বাবার। অঙ্কে ২০০ নম্বরের মধ্যে চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া পেল ২১২। ইতিমধ্যেই সেই মার্কশিট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। কী ভাবে বাস্তবায়িত হল এমনটা?
জানা গিয়েছে, গুজরাটের ঝালড় খরসানা গ্রামের একটি প্রাথমিক স্কুলের ছাত্র বংশীবেন মণীশভাই গুজরাটি ভাষার পরীক্ষা দিয়েছিল ২০০ নম্বরে। সেই ভাষায় তাকে দেওয়া হয়েছে ২১১। অঙ্কের ২০০ নম্বরের মধ্যে দেওয়া হয়েছে ২১২ নম্বর। স্কুল থেকে মার্কশিট হাতে ছেলে বাড়ি ফিরতেই মা-বাবা হতবাক। চোখে পড়ার মতো এই ভুল নিয়ে হাসাহাসি হচ্ছে নেটপাড়ায়। গুজরাটি, হিন্দি, অঙ্ক, পরিবেশবিদ্যা, ইংরেজি সমস্ত বিষয়েই খুব ভালো ফলাফলের আশা করেছিল ওই শিক্ষার্থী। কিন্তু, তাঁকে নম্বরের জায়গায় কাঁড়ি কাঁড়ি নম্বর দেওয়া হয়েছে।
গুজরাটি স্কুলের এই পড়ুয়ার অভিভাবকদের নজরে বিষয়টি আসার পর শেষ পর্যন্ত মার্কশিটের নম্বর বদলে সঠিক নম্বর দেওয়া হয়। সংশোধন করা হয় বাড়তি নম্বরগুলি। এরপর চতুর্থ শ্রেণির বংশীবেন মণীশভাই সব সাবজেক্ট মিলিয়ে সংশোধিত ফল পেল ১০০০-এর মধ্যে ৯৩৪ নম্বর, যেটা তার প্রাপ্য তাই দেওয়া হয়। এর আগে বাড়তি নম্বর নিয়ে তাঁর রেজাল্টে নম্বর ১০০০ এর মধ্যে ৯৫৬ হয়েছিল।