মহানগর ডেস্ক : যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা আলাদা করে এসএসসি দেখাতে পারলে পুরো ২৬ হাজার নিয়োগের প্যানেল বাতিল হবে না বলে সংক্ষিপ্ত পর্যবেক্ষণে জানাল সুপ্রিম কোর্ট। আপাতত ২৬ হাজার নিয়োগ বাতিলের কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি সুপার নিউমেরিক পদ তৈরির জন্য রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্যদের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের যে নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্ট দিয়েছিল, তাতে আগে যে ভাবে সুপ্রিম কোর্ট অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল, সেই স্থগিতাদেশ ১৬ জুলাই পর্যন্ত বহাল রইল। শীর্ষ আদালতের এই সংক্ষিপ্ত পর্যবেক্ষণে জানান হয়েছে, ১২% হারে সুদ সহ বেতন ফেরতের যে নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্ট দিয়েছিল, তাতেও স্থগিতাদেশ দেয়া হল।
এর ফলে এখনই সিবিআই রাজ্য মন্ত্রিসভার কোনও সদস্যদের নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে তলব করতে বা হেফাজতে নিতে পারবে না। এখনই বাতিল হচ্ছে না ২৬ হাজার চাকরি। এখনই এক মাসের মধ্যে ১২% হারে সুদ সমেত বেতন ফেরত দিতে হবে না। তবে ওই চাকরিরতদের মুচলেকা দিতে হবে যে তাঁরা অযোগ্য নয়, যদি তার পরে দেখা যায় তাঁরা অযোগ্য, তাহলে তাঁদের সুদ সহ বেতনের টাকা ফেরত দিতে হবে। আগামী ১৬ জুলাই এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
শীর্ষ আদালতের এই পর্যবেক্ষণের ফলে যোগ্য চাকরি প্রার্থীদের ভাগ্য ঝুলে রইল আগামী ১৬ জুলাই পর্যন্ত। এর পিছনে এসএসসির ১৮০ ডিগ্রি মত বদলকে কারণ হিসাবে দেখছেন অভিজ্ঞ মহল। তবে সিবিআই কলকাতা হাই কোর্টের ৮ নম্বর নির্দেশে যে রাজ্য মন্ত্রিসভার সুপার নিউমেরিক পোস্ট তৈরির জন্য মন্ত্রিসভার সদস্যদের তদন্তের স্বার্থে তলব করা ও হেফাজতে নেওয়ার যে নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্ট দিয়েছিল, সেই নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদের বহাল রাখল শীর্ষ আদালত।
তবে যাঁরা সাদা খাতা জমা দিয়ে, পরীক্ষা না দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের সিবিআই তলব ও প্রয়োজনে হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করতে পারবে। পাশাপাশি নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে তার তদন্ত তিন মাসের মধ্যে সিবিআইকে করতে হবে।
তবে আগামী ১৬ জুলাইয়ের মধ্যে লোকসভা নির্বাচন শেষ হয়ে দেশে নতুন সরকার গঠন হয়ে যাবে, তাই রাজ্য সরকার আপাতত শীর্ষ আদালতের এই সংক্ষিপ্ত পর্যবেক্ষণে সুবিধাজনক জায়গা পেলেও সার্বিকভাবে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্ত বহাল রাখল শীর্ষ আদালত। এখন দেখার এসএসসি যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা হলফনামা দিয়ে শীর্ষ আদালতে পেশ করতে পারে কিনা। না পারলে শীর্ষ আদালত তখন কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশকেই পুনর্বহাল করতে পারে বলে আইনজ্ঞদের মত।