মহানগর ডেস্কঃ ফের দিল্লিতে কৃষকদের বিক্ষোভ। পরিস্থিতি সামাল দিতে দিল্লি-উত্তর প্রদেশের গাজিপুর সীমান্তে সিমেন্ট ঢালাই করে, পাঁচিল তুলে পাকাপাকিভাবে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কৃষকদের আটকাতে হরিয়ানার রাস্তায় বসানো হয়েছে সিমেন্টের ব্লক, পেরেক বসানো ব্যারিকেড ও কাঁটাতার। কয়েক হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ।আগামিকাল, মঙ্গলবার দিল্লি চলো অভিযানের ডাক দিয়েছে কৃষকরা। তার আগেই আজ দিল্লি জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হল। হরিয়ানাতেও একাধিক জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও।
আগামী ১৩ ই ফেব্রুয়ারি দিল্লি চলো অভিযান করছে কৃষকরা। সংযুক্ত কিসান মোর্চা, কিসান মজদুর মোর্চা সহ ২০০টিরও বেশি কৃষক সংগঠন মিলে দিল্লিতে বিক্ষোভ দেখাবে। ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের গ্যারান্টির জন্য আইন সহ একাধিক দাবি নিয়েই ফের আন্দোলনে নামছে কৃষকরা। এদিকে, কৃষক আন্দোলন ঘিরে অশান্তি বা অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতেই দিল্লি, হরিয়ানায় কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। হরিয়ানার আম্বালা, কুরুক্ষেত্র, জিন্দ, হিসার, সিরসা সহ একাধিক জেলায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। বন্ধ এসএমএস পরিষেবাও। কৃষকদের আটকাতে হরিয়ানার রাস্তায় বসানো হয়েছে সিমেন্টের ব্লক, পেরেক বসানো ব্যারিকেড ও কাঁটাতার। কয়েক হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে । বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সিঙ্ঘু, গাজিপুর ও টিকরি সীমান্ত। দিল্লি-উত্তর প্রদেশের গাজিপুর সীমান্তে সিমেন্ট ঢালাই করে, পাঁচিল তুলে পাকাপাকিভাবে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আজ কৃষক সংগঠনগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল, অর্জুন মুন্ডা ও নিত্যানন্দ রাইয়ের। এর আগে গত বৃহস্পতিবার প্রথম দফার বৈঠক হয়। যদিও সেই বৈঠকে কোনও রফাসূত্র পাওয়া যায়নি। কোন দিকে যাবে আগামী পরিস্থিতি। গোটা দেশের নজর রয়েছে দিল্লির দিকে। কারণ মোদী সরকার সহ দেশবাসী জানে কৃষকদের প্রতিবাদী ভাষা।