মহানগর ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগে বড় ধাক্কা কংগ্রেসে। সদ্য দল ছেড়েছেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চৌহান। তিনি বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন। সূত্রের খবর কংগ্রেস ছাড়ার পর বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চৌহান। অশোক চৌহানের সঙ্গে ২ থেকে ৪ জন কংগ্রেস বিধায়কও দল ছেড়েছেন বলেই খবর। তারাও বিজেপিতে দিতে পারেন বলেই সম্ভাবনা। জানা গিয়েছে মহারাষ্ট্র থেকে অশোক চৌহানকে রাজ্যসভায় পাঠাতে পারে বিজেপি। অশোক চৌহানের পদত্যাগের আগে মিলিন্দ দেওরা এবং বাবা সিদ্দিকী কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। সিদ্দিকী যোগ দিয়েছেন অজিত পাওয়ার গোষ্ঠীর এনসিপিতে। শিবসেনায় যোগ দিয়েছেন দেওরা শিন্ডে।
সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্র কংগ্রেস সভাপতি নান্য পাটোলের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন অশোক চৌহান। ২০০৮ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন অশোক চৌহান। তাঁর বাবা শঙ্কররাও চৌহান মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। পাশাপাশি তিনি ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন। তিনি ১৯৮৭ সালে প্রথমবার লোকসভার সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত তিনবার বিধায়ক হন তিনি। ২০১৪ সালে দ্বিতীয়বারের মতো সাংসদ নির্বাচিত হন অশোক চৌহান। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বুধবার বিকেলে মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকার রাহুল নার্ভেকরের সঙ্গে দেখা করেন অশোক চৌহান। এই সময়, দুই নেতার মধ্যে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়। যার প্ররে তিনি কংগ্রেসের সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেন। কংগ্রেস থেকে তার পদত্যাগ সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে, অশোক চৌহান একটি বিবৃতি জারি করে বলেছেন, ‘আমি ১২/০২/২০২৪ তারিখ বিকাল থেকে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস পার্টির প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে পদত্যাগপত্র জমা দিচ্ছি।’ অশোক চৌহান নান্দেজের কংগ্রেস বিধায়ক।
সাম্প্রতিক সময়ে এটি মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের জন্য এটি দ্বিতীয় বড় ধাক্কা। চৌহানের আগে, প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী বাবা সিদ্দিকীও কংগ্রেসের সাথে তার ৪৮ বছরের সম্পর্ক শেষ করেন। শনিবার তিনি কংগ্রেস ছেড়ে অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপিতে যোগ দেন। মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের সংকটের মধ্যে বর্তমান সভাপতি নান্য পাটোলে দিল্লি গিয়েছেন বলেই খবর। যদিও, কংগ্রেস যাত্রার সঙ্গে আর এলডির কোন রমকের যোগসূত্রের কথা এড়িয়ে গিয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে প্রচারে আরও সময় পেতেই যাত্রা শেষের ইঙ্গিত মিলেছে কংগ্রেস সূত্রে। উত্তরপ্রদেশে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা ২৮ টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্য দিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আসন বারাণসী, রায়বেরেলি, আমেঠি, এলাহাবাদ, ফুলপুর এবং লখনউ। এগুলি ছাড়াও চান্দৌলি, বারাণসী, জৌনপুর, এলাহাবাদ, ভাদোহি, প্রতাপগড়, আমেঠি, রায়বেরেলি, লখনউ, হারদোই, সীতাপুর, বেরেলি, মোরাদাবাদ, রামপুর, সাম্বল, আমরোেহা, আলিগড়, বাদাউন, বুলন্দশহর এবং আগ্রার মতো অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে যাত্রা করার কথা ছিল। ২০ ই মার্চ মুম্বইয়ে এই যাত্রা শেষ হবে। তবে রিপোর্ট অনুসারে জান্য গিয়েছে ১০ ই থেকে ১৪ ই মার্চের মধ্যে যাত্রা শেষ হতে পারে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ১৪ ই ফেব্রুয়ারি ন্যায় যাত্রায় যোগ দিতে পারেন। ১৪ ফেবরুয়ারি যাত্রার এক মাস পূর্ণ হবে। প্রিয়াঙ্কা এখনও এই যাত্রায় অংশ নেননি।