মহানগর ডেস্ক : প্রেমিকার সামনে নতজানু হয়ে প্রেমিকার প্রেম নিবেদন !এমন দৃশ্য এর আগে আমরা দেখেছি। তাতে অবাক হইনি।কারণ, এতে কী এমন দোষ রয়েছে যে এমনভাবে প্রেম নিবেদন করা যাবে না। অনেকেই মনে করেন প্রেমের মতো নিষ্কলুষ জিনিস আর কিছু হয় না। কিন্তু সেই প্রেম নিবেদন, আলিঙ্গন যদি কেদারনাথের মতো লক্ষ লক্ষ হিন্দুর পরম শ্রদ্ধার (Love Scene In Front Kedarnath Temple) মন্দিরের সামনে হয়,তাহলে তা নিয়ে
প্রতিবাদ,বিতর্ক হলে কিছু বলার থাকে না।
কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা গিয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উপাসনা স্থল কেদারনাথ মন্দিরের সামনে রোমান্টিক দৃশ্য তৈরি হয়েছে,যেখানে প্রিয় পুরুষের সামনে হাঁটু মুড়ে আঙটি পরিয়ে প্রেম নিবেদন করছেন প্রেমিকা। শুধু তাই ঈশ্বরকে সাক্ষী রেখে পরস্পর পরস্পরকে জড়িয়ে ধরছেন, যা দেখে ভুরু কুঁচকে উঠেছে ভক্তদের।
কেদারনাথ মন্দির ধর্মীয় গুরুত্বে আসমুদ্র হিমাচলের ভক্তদের কাছে তুলনাহীন। তবে এবার আবহাওয়ায় সেই পরিচিত কনকনে ঠান্ডা নেই। লক্ষ লক্ষ ভক্ত গৌরীকুণ্ড থেকে বাইশ কিলোমিটার পাহাড়ি পথ বেয়ে কেদারনাথে ঈশ্বর দর্শনের মনোবাসনা মিটিয়ে নেন। ভিডিওয় দেখা গিয়েছে বয়ফ্রেন্ড হলুদ পোশাক পরে মন দিয়ে প্রার্থনা করছেন। কিন্তু তারপরের ব্যাপারটা তাঁর অজানা। কারণ তাঁর প্রেমিকাও হলুদ পোশাক পরে আচমকাই হাঁটু মুড়ে বসে পড়েছেন। তারপর প্রেম নিবেদন করে আঙটি তুলে দিচ্ছেন বয়ফ্রেন্ডের হাতে, যে বয়ফ্রেন্ড একটু আগও জানতেন না এমনটা ঘটতে পারে। আর অভাবনীয় ঘটনা দেখে বয়ফ্রেন্ডের দু চোখ দিয়ে নেমে এসেছে ফোঁটা ফোঁটা জল।
তারপর দুজন দুজনকে নিবিড় করে জড়িয়ে ধরেছেন। কেদারনাথ মন্দিরের মতো ভারতের বিখ্যাত মন্দিরের সামনে ঈশ্বরকে সাক্ষী রেখে এমন প্রেমের দৃশ্য ভাবাই যায় না। কিন্তু ভাবা না গেলেও তা ঘটেছে। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর একইসঙ্গে আছড়ে পড়েছে প্রশংসা ও সমালোচনার ঝড়। অনেকে যেমন প্রশংসা করে প্রেমের জয়গান গেয়েছেন,তেমনই কেউ কেউ মন্দিরের পবিত্রতাকে গুরুত্ব না দিয়ে এমন প্রেমের দৃশ্য রচনায় সমালোচনায় সরব হয়েছে। প্রশ্ন তুলেছেন নৈতিকতারও। অনেকে স্মার্টফোন নিয়েও খোঁচা দিতে ছাড়েননি। তাঁদের সাফ বক্তব্য, ধর্মীয় স্থানে স্মার্টফোন নিষিদ্ধ হওয়া জরুরি।