মহানগর ডেস্ক: সংসদ থেকে তাঁর বহিষ্কারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন মহুয়া মৈত্র। গত সপ্তাহে টাকার বদলে প্রশ্ন দুর্নীতি ইস্যুতে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। অভিযোগ, সংসদে সরকারের কড়া সমালোচনা করার জন্য তিনি ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানির কাছ থেকে ঘুষ হিসেবে দুকোটি টাকা এবং বিলাসবহুল সামগ্রী নিয়েছে। আরও অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সংসদের ওয়েবসাইটের একটি অ্যাকাউন্টে তাঁর লগ-ইন ক্রেডেনশিয়ালকে দিয়েছেন, যাতে হিরাচন্দানি সরাসরি তাঁর প্রশ্ন পোস্ট করতে পারেন। মোদী সরকারের কট্টর সমালোচক মহুয়া অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে আনা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ স্বীকার করেননি। তবে লগ-ইন ডিটেলস শেয়ার করার কথা স্বীকার করে যুক্তি দেখিয়েছেন লগ ইন ডিটেলস শেয়ার করা সাংসদদের কাছে সাধারণ ব্যাপার।
তাঁর বিষয়টি সংসদের এথিকস কমিটির কাছে পাঠানো হয়। কমিটি জানায় ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি পরিষ্কারভাবে প্রতিষ্ঠিত এবং তা কোনওভাবেই অস্বীকার করা যাবে না। ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে তাঁকে লগ-ইন ডিটেলস দেওয়া পুরোপুরি অনৈতিক। এ নিয়ে সংসদে পাঁচশো পাতার রিপোর্ট পেশ করা হলে শাসকদল বিজেপি ও বিরোধীদের মধ্যে তুমুল বিতর্ক দেখা যায়। যার মধ্যে ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদকে সংসদে কথা বলার অনুমতি দেওয়া হবে কিনা-ইস্যু। ইস্যুটি নিয়ে প্রবল বিতর্ক এবং ধ্বনি ভোটের পর অধ্যক্ষ ওম বিড়লা জানান সংসদ এথিকস কমিটির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে যে সাংসদ মহুয়া মৈত্রের আচরণ অনৈতিক এবং অশোভন। কাজেই সাংসদ হিসেবে তাঁর থাকা সঠিক নয়।
সসংসদে বক্তব্য পেশের অনুমতি না পাওয়ায় সংসদের বাইরে তৃণমূল সাংসদ এথিকস কমিটির কড়া সমালোচনা করে কমিটির বিরুদ্ধে নিয়মভঙ্গের অভিযোগ আনেন।সেইসঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তেরও আশঙ্কা করেন। তাঁর আশঙ্কামতো সিবিআইও তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। দলের সাংসদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনাকে তিনি প্রতিহিংসার রাজনীতি বলে বর্ণনা করেন। অভিযোগ করেন বিজেপির এ ধরণের রাজনীতি সংসদীয় রাজনীতিকে ধ্বংস করেছে।