মহানগর ডেস্ক: হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে অতিবর্ষনের জেরে ফুলে ফেঁপে উঠেছিল পাহাড়ি নদী। পাহাড়ে নেমেছিল ভয়ানক ধস। ভূমিধস,বন্যা সব মিলিয়ে যেন ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে প্রকৃতি। ভারতের এই দুই পাহাড়ি রাজ্যই বর্ষার শুরু থেকে ভয়ানক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে। কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেই তথ্যই জানালেন রাজ্যের মন্ত্রী।
হিমাচল প্রদেশের রাজস্ব মন্ত্রী জগৎ সিং নেগি শুক্রবার বলেছেন যে, ২৪ জুন বর্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে বৃষ্টি সংক্রান্ত বিপর্যয়ে ৪০০ জন মারা গিয়েছেন। ৪০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ২,৫০০ বেশি বাড়ি সম্পূর্ণ এবং ১১ হাজারের বেশি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিন তিনি বলেন, “বিপুল সংখ্যক লোক তাদের জমি হারিয়েছেন এবং আমাদের রাজ্যের বেশিরভাগ জায়গায় জমি বরাদ্দের জন্য কোনও পুল নেই। আমাদের আইন সংশোধন করতে হবে কারণ বেশিরভাগ জায়গায় রাজ্যে বন অধিকার আইন কার্যকর হয়েছে। আমরা এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে কথা বলব।”
কেন্দ্রীয় সরকারের ডাকা বিশেষ বর্ষা অধিবেশনে ‘ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন’-এর গুজব নিয়ে কথা বলতে গিয়ে জগৎ সিং নেগি বলেছিলেন, “আমি জিজ্ঞাসা করতে চাই যে তারা কি দেশে নির্বাচিত সরকারগুলিকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে? এই পুরো প্রক্রিয়াটি নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ হতে প্রায় 6 থেকে 7 মাস সময় লাগবে। এটি দেশের আর্থিক অবস্থার উপরও প্রভাব ফেলবে। এতে কোটি কোটি টাকা খরচ হবে।”