মহানগর ডেস্ক: দেবের দেখানো পথেই হেটেছিলেন আর এক তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠিও দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ-ের পরেই নিজের মনের কথা সমাজ মাধ্যমে লিখেছেন অভিনেত্রী।
এদিন তার সংসদীয় এলাকার কাজের খতিয়ান তুলে ধরেন অভিনেত্রী-সাংসদ। শুক্রবার মিমি তাঁর ফেসবুক পেজে একটি লেখা পোস্ট করেন। অভিনেত্রী লেখেন, “আমার জীবন অধ্যায়ের অধিকাংশ সময় অভিনয় জগতে থেকে মানুষকে মনোরঞ্জন দিতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু গত ৫ বছর বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ গণতন্ত্রের একজন সাংসদ রূপে যতটা কাজ সাধারণ মানুষের জন্যে করতে পেরেছি, মানুষের করের টাকা সঠিক ভাবে ব্যবহার করে উন্নয়নমূলক কাজ করেছি, সৎপথে থেকে মাথা উঁচু করে এগিয়ে গেছি… সেই সফরের কথা মনে করলে মারাত্মক আত্মতুষ্টি হয়। তাই আনন্দের সাথে বিগত পাঁচ বছরের আমার সাংসদ রূপে যাবতীয় কাজের খতিয়ান আজ জনসমক্ষে তুলে ধরলাম।” এর পরেই মিমি লিখেছেন, ‘কুছ তো লোগ কহেঙ্গে, লোগো কা কাম হ্যয় কহেনা!’
জানিয়ে রাখা ভাল, এদিন মিমি খতিয়ান তুলে ধরে লিখেছেন, ২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তার এমপি ল্যাড থেকে বরাদ্দ করা হয়েছে ১৭ কোটি ৬ লক্ষ ২ হাজার ৬২১ টাকা। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা ভাল, মিমির যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে, বারুইপুর পূর্ব, বারুইপুর পশ্চিম, ভাঙড়, যাদবপুর, টালিগঞ্জ, উত্তর সোনারপুর, দক্ষিণ সোনারপুর বিধানসভা কেন্দ্র। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “আন্তরিক কৃতজ্ঞতা আমার নেত্রী শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁর স্নেহের হাত আমার মাথায় সর্বক্ষণ রাখবার জন্য। আগামিদিনে আমি সক্রিয় রাজনীতিতে থাকি বা না থাকি, আমার কাজের মাধ্যমে আমি নিশ্চিতরূপে মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায় থাকব।”