HomePolitics'কে কাকে সিধে করে দেখে নেব', দিলিপের মন্তব্যে পাল্টা হুঁশিয়ারি পড়ুয়াদের

‘কে কাকে সিধে করে দেখে নেব’, দিলিপের মন্তব্যে পাল্টা হুঁশিয়ারি পড়ুয়াদের

- Advertisement -

মহানগর ডেস্ক: যাদবপুর কাণ্ড নিয়ে বর্তমানে ঘোলা জলে মাছ ধরার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইছেন না কেউ। এই নিয়ে এবার বেফাঁস মন্তব্য করেছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। আক্রমণ শানিয়েছেন বুদ্ধিজীবীদের। রবিবার ভাটপাড়ায় এক দলীয় সমাবেশে যোগদান করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেখানেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন তিনি। সেই নিয়ে তাঁকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। দিলীপের মন্তব্যকে দিবাস্বপ্ন বলে কটাক্ষ করেন এসএফআই নেতা সৃজন ভট্টাচার্য।

যাদবপুর ইস্যুতে দিলীপ বলেন, “এ রকমের বিশৃঙ্খলা চলা উচিত কি? যেখানে যেখানে এই রকমের সন্ত্রাসবাদী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, যেখানে যেখানে এরকম সমাজবিরোধী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, আমরা বুথ দিয়ে থেঁতলে দিয়েছি। যান জেএনইউ-তে গিয়ে দেখে আসুন, ওখানেও আজাদি আজাদি করা হত, সবাইকে আজাদ করে দেওয়া হয়েছে। আজ ওখানে লেনিন, মাও সে তুং নেই, বিবেকানন্দের মূর্তি দাঁড়িয়ে রয়েছে সেখানে। এই সরকার যেদিন যাবে, সেদিন যাদবপুরে বিবেকানন্দের স্ট্যাচু আর ভারত মাতাজির জয় স্লোগান হবে। কাশ্মীর ঠান্ডা করে দিয়েছি, কোথায় যাদবপুর?”

আরও পড়ুন:Bi-Polar Dis-Order: একবার হাসি,পরমুহূর্তেই রেগে অগ্নিশর্মা, বাই পোলার ডিসঅর্ডার অসুখটা কি!

দিলীপ ঘোষের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে রীতিমত তোলপাড় চলছে রাজ্য রাজনীতি জুড়ে। তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন দিলীপ ঘোষকে আক্রমণ করে বলেন, “দিলীপবাবু এখন মানসিক যন্ত্রণায় রয়েছেন। তাঁর পদ চলে গিয়েছে। দলে তাঁর গুরুত্ব নেই। দলীয় অফিসে বসিয়ে রেখে মিটিং হচ্ছে, কিন্তু তাঁকে কেউ ডাকছেন না। তিনি মনের দুঃখে কিছুদিন শীতঘুমে চলে গিয়েছিলেন। হঠাৎ মনে হয়েছে নড়েচড়ে বসতে হবে। সামনে মন্ত্রিত্বের হিসাব রয়েছে, একটা ছিপ ফেলতে হবে। সে জন্যই তিনি পুরনো ফরম্যাটে ফিরে এসেছে।”

তাঁর কথায়, “একে তো শিক্ষাব্যবস্থাকে গৈরিকীকরণ করা হয়েছে। তিনি বলছেন লাথি মেরে আন্দোলন ঠান্ডা করে দেবেন। শিক্ষাঙ্গনে জয় শ্রী রাম স্লোগান দেবেন।” শান্তনু সেনের অভিযোগ, “বামপন্থীরাই যাদবপুরে অরাজকতার আস্তাকুঁড় করে রেখেছে।”

আরও পড়ুন:Bi-Polar Dis-Order: একবার হাসি,পরমুহূর্তেই রেগে অগ্নিশর্মা, বাই পোলার ডিসঅর্ডার অসুখটা কি!

দিলীপের মন্তব্য নিয়ে মুখ খুলেছেন এসএফআই নেতা সৃজন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “আমি ধরে নিচ্ছি দিলীপবাবু দিবাস্বপ্ন দেখছেন। এরকম দিবাস্বপ্ন আগেও দেখেছেন। ওঁর দল বাংলাতেও ক্ষমতায় আসবে না। যাদবপুর থেকে কাউকে লাথি মেরে বার করা হবে না। এর আগে একবার বলেছিলেন যাদবপুরের ছেলেমেয়েদের পা কেটে দেবেন। তারপর প্রত্যেকটা ভোটে বিজেপি পরপর হেরেছে।”

দিলীপ ঘোষের মন্তব্য নিয়ে তরজা শুধুমাত্র রাজনীতিতেই থেমে থাকেনি। যাদবপুরের পড়ুয়া অনুষ্টুপ চক্রবর্তী বলেন, “২০১৯ সালে একজন সিধে করতে এসেছিল সে এখন তৃণমূলে আছে। দিলীপ ঘোষ এলে তাঁকে সিধে করে দেওয়া হবে।” বাংলা বিভাগের পড়ুয়া রাজদীপ পাঁজা বলেন, “সিধে করতে আসুক, চেষ্টা করুক। তারপর বুঝে নেব কে কাকে সিধে করে। একদম স্পষ্ট কথা।”

 

Most Popular