মহানগর ডেস্ক : গত ২৩ মার্চ ভাঙড়ের বেঁওতা ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্যের সমর্থনে দেওয়াল লিখনের সময় তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন সিপিএম কর্মীরা। তারা সেদিন দৃঢ়তার সঙ্গে জানিয়ে দিয়ে ছিলেন লড়াই জারি থাকবে, সিপিএমের প্রচার চলবে। শনিবার দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে ভাঙড়ের বেঁওতা ১ পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরলেন যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। সৃজন এদিন গ্রামবাসীদের বাড়ি বাড়ি গেলেন তাদের সাথে কথা বললেন। প্রচারে এসে সৃজন বললেন, ‘‘মানুষের ভয় ভেঙেছে। যাদবপুরের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন, ভাঙড়ের মানুষ জোট বাঁধছেন এই বদ্ধ পরিবেশ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য।’’
সিপিএম প্রার্থীকে কাছের থেকে দেখে শনিবার বহু মানুষ তাঁর সামনে এগিয়ে আসেন, কথা বলেন। এক বৃদ্ধ সিপিএম প্রার্থী সৃজনকে দেখে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলেন।
এখানকার সিপিএম কর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, দেওয়াল লেখার সময় শাসক দলের পক্ষ থেকে তাদের হুমকি দেওয়া হয়। বলা হয়, লোকসভা নির্বাচনে সিপিএম এর হয়ে প্রচার করলে তাদের ঘর ছাড়া করা হবে। মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর ভয়ও শাসক দল তৃণমূলের পক্ষ থেকে দেখানো হয়েছে বলে তারা অভিযোগ করেন। তবে এদিনের মিছিল এবং এলাকায় মানুষের সমর্থন প্রমাণ করে দিয়েছে, ভাঙড়ের মানুষ এখন আর ভয় পান না, তাঁদের ভয় ভেঙেছে! পঞ্চায়েত ভোটে এবং বিগত নির্বাচন গুলোয় তাদের যে ভোট লুঠ করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে তাই এবার তারা জনমত জানাতেই তৈরি হচ্ছেন।
সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘মানুষের রুটি, রুজি, অন্নবস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, কর্মসংস্থানের দাবি নিয়েই আমরা নির্বাচনে লড়তে নেমেছি। সংসদে এই সব কথাই তুলে ধরা বামপন্থীদের কাজ। আসা করবো যাদবপুরের মানুষ এবার সেই সুযোগ দেবেন।’’
যাদবপুরের প্রার্থী হিসাবে তার নাম ঘোষণা হওয়ার পর পায়ে হেঁটে গোটা এলাকা প্রায় চোষে ফেলছে সৃজন। পৌঁছে যাচ্ছেন গ্রামের মেঠো রাস্তা থেকে শহর, শহরতলীতে,বকথা বলছেন সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে। সৃজন বলছেন, “আমরা রুটি-রুজি-রুচি”-র দাবিতে লড়ছি, রাজনীতির নামে ছ্যাবলামো করছি না।”