নিজস্ব সংবাদদাতা : এবার ছাত্র হেনস্থার অভিযোগ উঠল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। অভিযোগ বিশ্বভারতীর নীচু বাংলো ছাত্রাবাসের তিন ছাত্রের বিরুদ্ধে। হোস্টেলের একাংশ ছাত্র এই হেনস্থার অভিযোগ এনেছে বলে জানা গিয়েছে। বিশ্বভারতী সূত্র মারফত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, অভিভাবকদের মধ্যে কয়েকজন এই অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এরপরেই পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সোমবার হোস্টেলে যান বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
ইতিমধ্যেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রকে র্যাগিং করে হেনস্থা করা হয়েছিল। ৯ আগস্ট যাদবপুর মেইন হোস্টেলের তিন তলার বারান্দার নিচ থেকে প্রথম বর্ষের ছাত্রের দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনাকে ঘিরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। সে ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার নয়া অভিযোগ। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে।
আরও পড়ুন: যাদবপুর কাণ্ডে ব্রাত্য-শুভেন্দু তরজা, উত্তপ্ত বিধানসভার বাদল অধিবেশন
এই ঘটনার পরই তেড়ে ফুঁড়ে ওঠে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ অভিযুক্তদের মধ্যে দুই ছাত্রকে হোস্টেল থেকে গাড়িতে করে সেন্ট্রাল অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। তৃতীয় জন ছাত্র আপাতত বিশ্বভারতীতে নেই বলেই জানা গিয়েছে।এমনকি ওই ছাত্রদের জিনিসপত্র বিশ্বভারতীর মূল দফতর অর্থাৎ সেন্ট্রাল অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। পড়ুয়াদের উপর কোন রকম শারীরিক বা মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
এরপরেই সোমবার রাতে ক্যাম্পাস সংলগ্ন অঞ্চলে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। বিশ্ববিদ্যালযয়ের তরফ থেকে এক স্টুডেন্ট ওয়ার্ডেনকে সেই রাতেই ডেকে পাঠানো হয়েছিল। ফ্রেঞ্চ ডিপার্টমেন্টের এক ছাত্র ইউজিসিকে ইমেইল করে ওই তিন ছাত্রের বিরুদ্ধে মানসিক হেনস্থার অভিযোগ করেছে বলেই বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে। তার ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।