কলকাতা: তৃনমূল-বিজেপির বাকবিতণ্ডা বিধানসভার বাদল অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বে। ইস্যু, যাবদপুর ছাত্রমৃত্যু। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় কার্যত দায় ঠেলাঠেলি চললো বিধানসভায়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে ছাত্রমৃত্যুর জন্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দোষ চাপালেন রাজ্য সরকারের ওপর। এদিকে আবার, রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সিভি আনন্দ বোসের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে বসলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
মঙ্গলবার বিধানসভার বাদল অধিবেশনে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় দেশ-বিরোধী শক্তির ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে। সেখানে মাদক পাচার হয়, র্যাগিং হয়। ঢিল ছোড়া দূরত্বে থানা হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।” পাল্টা জবাব দিয়েছেন ব্রাত্য। তিনি বলেন, “আপনারা মাদক পাচারের কথা বলছেন। এটা দেখার দায়িত্ব নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর।” নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো কেন্দ্রীয় সংস্থা হওয়ায়, ব্রাত্যর মন্তব্যের পরেই বিজেপি বিধায়করা সরব হন। তাঁদের মতে, রাজ্যের হাতেও সংস্থা রয়েছে। তারপর বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিরোধী দলনেতা এদিন আরও বলেন, “বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর সিসিটিভি লাগানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তা কার্যকর হয়নি”। এদিন শুভেন্দুর গলায় শোনা যায় প্রাক্তন উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তীর কথা। তিনি বলেন, “প্রাক্তন উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী সিসিটিভি লাগাতে চেয়েছিলেন বলে আমাকে বলেছেন। কেন তাঁর মেয়াদ শেষের আগে সরানো হল?”
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এদিন জবাব দিতে গিয়ে বলেন, দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে ২০০৯-এর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, রাঘবন কমিটির রিপোর্টের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, “রাজ্যপাল নিজের ইচ্ছামতো উপাচার্য বসাচ্ছেন। উপাচার্যকে সরিয়ে দেওয়ার পরেই এই ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার জন্য ১০০ শতাংশ দায়ী রাজ্যপাল।” শিক্ষামন্ত্রীর জবাবি বক্তৃতা চলাকালীন বিজেপি পরিষদীয় দল ওয়াক আউট করে।