মহানগর ডেস্ক : বিজেপি আছে বিজেপিতেই। বালুরঘাটের বুনিয়াদপুরে সুকান্ত মজুমদারের সমর্থনে জনসভা থেকে নিজের ভাষণে সেটাই বুঝিয়ে দিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর ভাষণে দেশের বেকার সমস্যা সমাধান, জীবনদায়ী ওষুধের দাম হ্রাস, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আনা, কৃষকের সহায়ক মূল্য প্রদান সম্পর্কে কোনও প্রতিশ্রুতি শোনা গেল না। তবে অমিত শাহ বললেন, “পদ্মে ছাপ দিয়ে তৃতীয়বারের জন্য নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী বানাবেন তো? মোদী রামমন্দির তৈরী করেছেন। তিন তালাক তুলে দিয়েছেন, কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা রদ করেছেন। বাংলায় ৩০টি আসন পেলে বাংলায় অনুপ্রবেশ তো দূরের কথা একটা পায়রাও প্রবেশ করতে পারবে না।”
অমিত শাহ এদিন সভামঞ্চ থেকে বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিএএ নিয়ে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন। সিএএ ধর্মীয় কারণে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ, জৈন, পার্সি, খৃষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।”
বিশ্বের বৃহত্তর গণতন্ত্রের দেশ ভারত। সেই দেশে নতুন সরকার গঠনের জন্য ভোটের প্রচারে ভোট ঘোষণার পর প্রথম বাংলায় এসে অমিত শাহ যা বললেন তাতে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি সেই অর্থে ছিল না। তবে জয় শ্রীরাম ধ্বনি, রামমন্দির ইত্যাদি প্রসঙ্গে উল্লেখ করে নরেন্দ্র মোদী সরকারের কৃতিত্ব দাবি করেছেন অমিত শাহ। তিনি তাঁর বক্তব্যে বুঝিয়ে দিয়েছেন বিজেপির রাজনীতিতে দেশের মানুষের উন্নয়নের চাইতে ধর্মের গুরুত্ব অনেক বেশি। অমিত শাহ তাঁর ভাষণে সন্দেশখালি নিয়ে সমালোচনা করেঋেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে, ঠিক যেমন তৃণমূল মণিপুর, হাতরাস,উন্নাও কাণ্ড নিয়ে বিজেপির সমালোচনা করে। এই যদি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর লোকসভা নির্বাচনের বক্তব্যের প্রতিপাদ্য হয় তাহলে ভারতের উন্নয়ন কোন পথে হবে? সেই প্রশ্নই তুলছেন রাজনৈতিক অভিজ্ঞরা।