মহানগর ডেস্কঃ ২৭ টা বছর দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেছে। দোলন রায় ও দীপঙ্কর দে’র সম্পর্ক যেন এক অধ্যায়। ১৯৯৭ সাল থেকে একে অপরকে চেনেন। বয়স যে শুধু মাত্র একটা সংখ্যা। জীবনে অভিজ্ঞতা হল প্রধান শক্তি। তা তাঁদের দিকে তাকালেই বেশ ভালোভাবে টের পাওয়া যায়। এদিকে দীপঙ্করের বড় মেয়ের বয়স দোলনের থেকেও বেশি। মায়ের থেকে মেয়ে বড় হওয়াতে তাদের বন্ধুত্ব গভীরতা ঠুনকো হয়নি। দোলন-দীপঙ্কর জুটি দু’জন দু’জনের প্রেমে পড়েছিলেন সকলের আড়ালে। ভালবাসার টানে কাছে টেনে নিয়েছিলেন একে অপরকে। ২০২০ সালে বিয়ে করেন তারা। এখন দীপঙ্করের বয়স প্রায় ৮০ বছর। অন্যদিকে দোলন সবে ৫০ এর কোঠা পার করেছেন। তাদের দু’জনের মধ্যেকার শারীরিক সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে বার বার এসেছে একাধিক মন্তব্য ও কটাক্ষ বান। সব কিছু সহ্য করে নিয়েও এখনো লড়ে যাচ্ছেন তারা। বলা ভালো বেশ কেটে যাচ্ছে তাদের। ৮০ বছরের দীপঙ্করের সঙ্গে বৈবাহিক জীবন কেমন দোলনের?
সম্প্রতি ‘নিবেদিতা অনলাইন’ নামক এক ইউটিউব চ্যানেল থেকে দোলন রায়কে প্রশ্ন করা হয়েছিল এই বিষয় নিয়ে। অভিনেত্রী কোনো রাখঢাক না রেখে একদম খোলসা করলেন তাঁদের দাম্পত্য কাহিনী।
কোনও সঙ্কোচ না করেই তিনি জানান, “একটা সময় পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল। তারপর যা হয় মেয়েরাই সব সময় কম্প্রোমাইজ করে। সমঝোতা না করলে একটা অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ও তো আমার জীবনে প্রায় প্রথমই। আমি স্যাচুরেটেড হয়ে গিয়েছি। ও হয়তো শেষ বয়সে ওর পারা বা না পারা নিয়ে স্যাচুরেটেড হয়ে গিয়েছে।”তিনি আরও বলেন, “কিছুটা মানিয়ে নেওয়া, কারণ মানুষটার ভালবাসাটা এত বেশি যে তখন এগুলো খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে ওঠেনি কোনোদিন। ওকে এগুলো অনুভব করতে দিইনি আমি কখনো। দীপঙ্করের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে অকপট দোলন।
বয়সের ফারাকে শারীরিক সম্পর্কে সমস্যা?এভাবে কি সম্পর্কটা ঠিক থাকবে? এমন প্রশ্ন যখন দোলনের সামনে তখন তিনি বলেন, অসুখ-বিসুখ থেকে খারাপ সময় সর্বদা তাঁকে আগলে রাখেন দীপঙ্কর। অভিনেত্রী বলেন “আমার কিছু হয়ে গেলে ও এতটা নার্ভাস হয়ে যায় যে ভুলভাল সব কিছু করে ফেলে।” আর এটাই দোলন দীপঙ্করের সম্পর্কের ইউএসপি। সুখী দাম্পত্যের ভাল থাকার অন্যতম চাবিকাঠি বন্ধুত্ব এবং স্বাধীনতা।