মহানগর ডেস্ক : শনিবার কুলটির সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চড়া সুরে নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করেন। তিনি বলেন, “এদের ভোট দেবেন না। এরা আবার ক্ষমতায় এলে আপনাদের সব কেড়ে নেবে, দেশটা বেঁচে দেবে।”
শনিবার দুর্গাপুর থেকে কুলটিতে জনসভা করতে যাওয়ার সময় হেলিকপ্টারে বসতে গিয়ে পড়ে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর ফলে সাময়ীক তাঁর যাত্রা থমকে গেলেও দ্রুত তাঁর কপ্টার আসানসোলের কুলটিতে পৌঁছে যায় এবং তৃণমূলনেত্রী আসানসোলের তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার সমর্থনে জসভায় বক্তব্য রাখেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হেলিকপ্টার থেকে নেমে জনসভার মঞ্চে যাওয়ার সময় পাটা সামান্য টেনে হাটতে দেখা যায়। তবে এই ভাবে হেলিকপ্টারে বসতে গিয়ে পড়ে গিয়েও নিজেকে সামলে নেন মুখ্যমন্ত্রী। আপাত ভাবে মনে করা হচ্ছে তাঁর বড় রকমের আঘাত লাগেনি।
এই সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিনও কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারকে চড়া সুরে আক্রমণ করেন। ১০০ দিনের টাকা সহ রাজ্যের যে সমস্ত প্রকল্পের টাকা কেন্দ্র দেয়নি, আটকে রেখেছে, তা নিয়ে কেন্দ্রের মোদী সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি বিভিন্ন নির্বাচনী সভায় বলে চলেছে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করে দেওয়া হবে, মমতা বিজেপির এই দাবির সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ” মা, বোনেদের বলছি, লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা দেওয়া হচ্ছে, সারা জীবন আপনারা লক্ষ্মীর ভান্ডার পাবেন, ৬০ বছরে পৌঁছলে এই টাকাটাই আপনাআপনি বার্ধক্য ভাতায় পরিণত হবে।”
এদিনের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপি দেশটাকে বেঁচে দিচ্ছে। আমি বলছি, বিজেপিকে একটাও ভোট দেবেন না। এরা ক্ষমতায় এলে সব কেড়ে নেবে।”
কেন সন্দেশখালিতে ভোট চলাকালীন সিবিআই এনএসজিকে নিয়ে অভিযান চালাল তা নিয়েও কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন মমতা। বলেন, “ওই অস্ত্র কোথা থেকে এলো? কারা আনল? কেন রাজ্যকে, রাজ্য পুলিশকে না জানিয়ে অভিযান চালানো হল।”
এসএসসি মামলার রায়ে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি চলে যাওয়া প্রসঙ্গে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা চাকরি দিচ্ছি আর বিজেপি চাকরি কেড়ে নিচ্ছে। আমি এই রায়ের বিরোধিতা করছি, রায় যাঁরা দিয়েছেন আমি তাঁদের দোষ দিচ্ছি না। কেন এতোগুলো মানুষের চাকরি খেয়ে নেবে? ভোটের আগে রাজ্যে কেন রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে এজেন্সি লাগিয়ে দেবে? এর বিরুদ্ধে মা, বোন, ছাত্র, যৌবন সবাইকে লড়তে হবে। সকাল সকাল জোড়া ফুলে ভোট দিতে হবে।”