মহানগর ডেস্ক : এসএসসি দুর্নতি মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি যেতে বসেছিল যোগ্য ও অযোগ্য-উভয় পক্ষেরই। হাইকোর্টের রায়ে সুপ্রিম স্থগিতাদেশ রয়েছে। ফলে এখনই কাউকে ফেরাতে হবে না বেতন। হারাতে হবে না চাকরিও। তবে, ব্যাপক দুর্নীতি যে হয়েছে সেটা স্পষ্ট। এখন প্রশ্ন হল প্রায় ২৬ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে সৎ উপায়ে চাকরি পেয়েছে কারা আর কারা চাকরি কিনেছেন কয়েক লক্ষ টাকা ঘুষের বিনিময়ে? আদালত ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দেওয়ায় উঠেছিল প্রশ্ন, কেন অযোগ্যদের জন্য যোগ্যদের কপাল পুড়বে? নতুন করে চাকরির পরীক্ষা দিয়ে পাশ করাটাও একটা কঠিন বিষয় চাকরি প্রার্থীদের কাছে। অনেকেরই বয়স বেড়ে গিয়েছে। একবার সৎ উপায়ে চাকরি পেয়ে আবার চাকরির পরীক্ষা দিলেই যে চাকরি মিলবে এমনটাও নয়। সব মিলিয়ে চাকরি প্রার্থীরা তাকিয়ে রয়েছেন সুপ্রিম রায়ের দিকে।
ইতিমধ্যই সুপ্রিম শুনানি শুরু হয়েছে এই মামলায়। হাইকোর্টের পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে চাকরি প্রার্থীরা। তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিজেপিকে যে পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সেই নির্দেশ কার্যত বাস্তবায়িত হল। চালু হল আইনি সহায়তামূলক পোর্টাল। সেখানে এই প্রায় ২৬ হাজার জন আবেদন জানাতে পারবেন আইনি সাহায্যের জন্য।বর্ধমানের জনসভায় যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। বুধবার সেই প্রসঙ্গ তুলে বর্ধমানে নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর পাশে থাকার বার্তা দেওয়ার পরেই অবস্থান বদল করেছেন এসএসসি-র চেয়ারম্যান। যোগ্য এবং অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের বাছাই করা সম্ভব হলে
উল্লেখ্য, এই সংক্রান্ত পোর্টালটি হল bjplegalsupport.org। আর এই পোর্টাল মারফত করা যাবে আবেদন। আপাতত কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাৎ আপাতত চাকরিতে বহাল থাকছেন এই ২৬ হাজার শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মী। যদিও মামলাটির পরবর্তী শুনানি হতে চলেছে গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশে জানিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আপাতত স্থগিতাদেশ দিচ্ছে তারা। এদিন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ বলে, ‘যদি কোনওভাবে যোগ্য এবং অযোগ্য বাছাই করা সম্ভব হয় সেক্ষেত্রে গোটা প্যানেল বাতিল করা কোনওভাবেই ন্যায্য হবে না।’