মহানগর ডেস্ক : সন্দেশখালিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বা এনএইচসি-র প্রতিনিধিরা শুক্রবার সকালেই পৌঁছে গিয়েছেন। এদিন সকালে ধামাখালি থেকে পুলিশের বোটে করে সন্দেশখালি পৌঁছন এনএইচসি-র প্রতিনিধিরা। তাঁদের অভ্যর্থনা জানান জেলার পুলিশ সুপার। তারপর সন্দেশখালি থানায় পুলিশের সঙ্গে প্রায় আধ ঘণ্টা বৈঠক করেন এনএইচসি-র প্রতিনিধিরা। পুলিশের কাছে তাঁরা জানতে চান কতগুলি অভিযোগ জমা পড়েছে, কাদের নামে অভিযোগ জমা পড়েছে,পুলিশ কতজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।
এদিকে আজ শুক্রবারও সন্দেশখালির বেড়মজুর ১ নম্বর ব্লকে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে শেখ শাহজাহানের ভাই শেখ সিরাজউদ্দীনের বিরুদ্ধে জমি কেড়ে নেওয়া, কাজ করিয়ে টাকা না দেওয়ার অভিযোগে প্রতিবাদ করছে।
বৈঠক শেষে টোটোয় চেপে এনএইচসি-র প্রতিনিধিরা সন্দেশখালির গ্রাম পরিদর্শনে বেরিয়ে পড়েন। সরেজমিনে কমিশনের প্রতিনিধিরা দেখতে চান যে অভিযোগ তাঁদের কানে এসেছে এবং প্রশাসন যা বলছে তার মধ্যে কতটা বাস্তবতা আছে। তাই সরাসরি গ্রামের অত্যাচারিত মানুষদের সঙ্গে কথা বলে, তাঁদের মুখেই তাঁদের উপর শেখ শাহজাহান ও তার বাহিনীর অত্যাচারের কাহিনী শুনতে সন্দেশখালির গ্রামের পথে এনএইচসি-র প্রতিনিধিরা। এদিকে শুক্রবার সন্দেশখালির বাঘ শেখ শাহজাহান এখনও অধরা। ৫০ দিন ধরে শেখ শাহজাহান বেপাত্তা। রাজ্য পুলিশের ডিজি জানিয়েছেন, শেখ শাহজাহানকে ধরার দায়িত্ব ইডি-র, ইডি এই ঘটনার তদনৃত করছে, রাজ্যের হাত থেকে তদন্তভার নিজেদের হাতে নিয়েছে।
তবে আইনজীবররা বলছেন, ইডি তদন্ত করছে বলে রাজ্য পুলিশ শেখ শাহজাহানকে ধরতে পারবে না এমন কোনও আইনি বাধা নেই।
আজ ফের শেখ শাহজাহানকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ইডি ইসিআইআর করেছে সন্দেশখালির পালিয়ে বেরানো বাঘের বিরুদ্ধে। এদিকে সন্দেশখালির বেড়মজুর ১ নম্বর ব্লকের কাছাড়ি এলাকায় শেখ শাহজাহানেন ভাই শেখ সিরাজউদ্দীন শেখের ভেড়ি সংলগ্ন আলাঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। স্থানীয় মানুষের দাবি, আমরা আমাদের জায়গা ফেরত চাই। পুলিশের কাছে জানিয়ে কোনও লাভ হয় না, তাই আমরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছি।