মহানগর ডেস্ক : ভূপতিনগর কাণ্ডে চড়ছে পারদ। এআইএ আধিকারিকদের ওপর হামলার ঘটনাকে অস্ত্র করছে বিজেপি। অন্যদিকে রবিবার সকালে বোমা ফাটালেন কুণাল ঘোষ। এদিন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে প্রমাণ সমেত বিজেপির পর্দা ফাঁস করলেন রাজ্য়ের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
ভূপতিনগরে বোমা বিস্ফোরণের মামলার তদন্তে গিয়ে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই তৃণমূল নেতা বলাইচরণ মাইতি এবং মনোব্রত জানাকে গ্রেফতার করা হয়। তারপরই শাসক শিবির ও গেরুয়া শিবরের মধ্যে শুরু হয়েছে জোর বাক যুদ্ধ। রবিবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে কুণাল ঘোষ দাবি করেন, রাজ্যে নির্বাচেনী আচরণবিধি জারি রয়েছে। এরপরেও এআইএ আধিকারিকের বাড়িতে গিয়েছিলেন আসানসোলের বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তৃণমূল নেতার আরো দাবি, মানুষ জেনে গিয়েছে এনআইএ বিজেপির ক্যাডার হিসেবে ব্য়বহৃত হচ্ছে। ফের একবার এজেন্সি রাজনীতি নিয়ে সরব হল তৃণমূল।
কাগজ দেখিয়ে কুণাল বলেন,গত ২৬ মার্চ এনআইএ আধিকারিক ধনরাম সিংয়ের কলকাতার বাড়িতে আেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তাঁরা দেখিয়ে দেন, লিস্ট তুলে দেন, কোন কোন এলাকায় কাকে গ্রেফতার করতে হবে। সেই অনুযায়ী বিজেপি ঠিক করে তল্লাশি করে সেই জায়গায় আতঙ্ক ছড়িয়ে তৃণমূলের বুথ কর্মী নেতাদের আনবে। ২৬ মার্চ সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে ধনরাম সিংয়ের বাড়িতে যান নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি।’ এদিন ৬টা ৩০ মিনিট থেকে ৭টা ২২ মিনিট পর্যন্ত তাঁদের কথা হয় বলে দাবি কুণালের। সংশ্লিষ্ট ফ্ল্যাটের লিজ সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। যেখানে দাবি করা হয়, ওই ফ্ল্যাটের লিজ রয়েছে সংশ্লিষ্ট এনআইএ কর্তার নামেই।
সাংবাদিক বৈঠক থেকে কুণাল অভিযোগ করেন, একটি সাদা প্যাকেটে অর্থের লেনদেন হয়েছে। তা সত্যি কিনা তদন্ত হোক। পুলিশকে ধনরাম সিংয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর করার আবেদন করব। তাঁদের মোবাইল ফোনের লোকেশন খতিয়ে দেখা হোক। সাড়ে ৬টা থেকে ৭টা ২২, এই সময় তাঁদের ফোন থেকে কোথায় কোথায় ফোন গিয়েছে তা পুলিশকে খুঁজে বার করতে হবে।’ যদিও পাল্টা চুপ করে নেই বিজেপি। শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘যেদিন জিতেন্দ্র তিওয়ারির সঙ্গে এনআইএ আধিকারিকের সাক্ষাৎ হয়েছিল বলে কুণাল ঘোষ দাবি করছেন সেদিন কি ভূপতিনগরের বিস্ফোরণ হয়েছিল? তা তো হয়েছিল ২০২২ সালে। আদালতে নির্দেশে তদন্ত চলছে। এগুলো নিয়ে যা অভিযোগ করার তা তাঁরা নির্বাচন কমিশনে করতে পারেন।’