মহানগর ডেস্ক : ১৯ এপ্রিল ছিল লোকসভা ভোটের প্রথম দফার ভোট গ্রহণ পর্বের দিন। আর ২০ এপ্রিল ফের সন্দেশখালিতে হানা সিবিআইয়ের। চাঁদিফাটা রৌদ্রেই এ গ্রাম থেকে ও গ্রাম ছুটে বেড়াচ্ছেন সিবিআই আধিকারিকরা।সন্দেশখালির বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগকারীদের বাড়িতে যান সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। অভিযোগকারীদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।
শনিবার সন্দেশখালিতে পৌঁছে ২টি দলে ভাগ হয়ে যান সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। এর পর বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে ই-মেইলের মাধ্যমে যারা অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তাদের বাড়িতে যান তাঁরা। কথা বলেন অভিযোগকারীদের সঙ্গে। তথ্য প্রমাণ ও নথি সংগ্রহ করেন তাঁরা। উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্ত করছে সিবিআই। সন্দেশখালির বাসিন্দাদের জমি দখল, নির্যাতন, মহিলাদের ধর্ষণের অভিযোগের তদন্তভার সিবিআইকে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত সিবিআইকে একটি পোর্টাল খুলে অভিযোগ গ্রহণ করতে বলে। ১৫ দিনের মধ্যে অভিযোগ জমা দিতে হবে গ্রামবাসীদের। অভিযোগকারীদের গোপনীয়তা রক্ষা করতেই এই পদক্ষেপ বলে জানায় আদালত।
এদিকে, সন্দেশখালির স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে রাজ্য সরকারকে ১৫ দিনের মধ্যে সোলার পথবাতি ও সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।সন্দেশখালির বাসিন্দাদের দাবি, শাহজাহান, আলমগির, শিবু হাজরা, উত্তম সরদারের মতো তৃণমূলি দুষ্কৃতীরা গ্রেফতার হলেও তাদের অনেক অনুচর এখনও সন্দেশখালিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। গ্রামবাসীদের হুমকি দিচ্ছে তারা।