মহানগর ডেস্ক: বিয়ে (Marriage Occasion) মানেই আত্মীয়স্বজন, অভ্যাগতদের ভিড়। বরকনেকে আশীর্বাদ,শুভেচ্ছার পরেই খানাপিনার আসরে খাওয়াদাওয়া। নতুন জীবনের জন্য বরকনেকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি তাঁদের উপহারও দিয়ে থাকেন অতিথিরা (Marriage Gift)। এমন দস্তুর গোড়া থেকেই হয়ে আসছে। তবে এক বিয়েবাড়িতে একেবারে অন্যরকম একজিনিস দেখা গেল, যা সবাইকে চমকে দিতে বাধ্য।
ওই বিয়ের আসরে অতিথিদের বর কনে দুজনেই জানিয়ে দিয়েছিলেন যাঁরা আসবেন,তাঁরা যেন কমপক্ষে চার হাজার টাকা বা তার বেশি দামের উপহার নিয়ে আসেন। যে অধিকাংশ বর কনে যেকোনও উপহার পেলে খুশিতে ডগমগ হয়ে ওঠেন, উপহারের যে দামই হোক। সেটা টাকা,বাসনপত্র বা ঘর সাজানোর জিনিসপত্র হোক।
ভালোবেসে দেওয়া উপহারের দামই আলাদা। কিন্তু ওই বরকনে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন উপহারের দাম যেন চার হাজার টাকা হয়। যুক্তি হিসেবে কনে জানিয়েছেন বিয়েতে বিশাল খরচ করে শস্তার উপহার পাওয়াটা গালে চড় খাওয়ার শামিল।
কনের কাছে বিয়ে বাড়িতে খালি হাতে আসাটা অপরাধের নামান্তর। তাঁর বিয়ের অনুষ্ঠানে খাওয়াদাওয়ার পাশাপাশি মুক্ত বার রয়েছে। প্রতি অতিথি পিছু খরচ পড়ছে সাড়ে বারো হাজার টাকার কাছাকাছি। তাই বিয়েবাড়িতে খাওয়ার ন্যূনতম খরচ তোলার মধ্যে কোনও ভুল নেই। গোটা বিষয়টি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন এক মহিলা।
তার সঙ্গে রেডিটেও। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই মহিলা ইউজারদের দিকে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন এটা কি বলা কঠিন কিছু হয়ে যাবে যে যে উপহার অতিথিরা নিয়ে আসবেন, তাঁদের সঙ্গে আনা উপহারের দাম পঞ্চাশ বা বেশি ডলারের হওয়া উচিত। তিনি ও তাঁর প্রিয়তম লক্ষ্য করেছেন অধিকাংশ অতিথিই খালি হাতে বিয়েবাড়িতে আসা পছন্দ করেন। অথচ তাঁরা অনায়াসেই খরচ করতে পারেন।
তাঁদের বিয়ে বাড়িতে ওপেন বার ছাড়া প্রতি প্লেট খাবারের দাম দেড়শো ডলার। ওই মহিলা বিশ্বাস করে তাঁর ভালোবাসার ভাষা হল উপহার নেওয়ার মধ্য দিয়ে। তাই যাঁরা আসবেন তাঁদের অন্তত পঞ্চাশ ডলার দামের উপহার আনাটা যুক্তিসঙ্গত। ফেসবুকের আরেকটি পোস্টে তিনি জানিয়েছেন উপহার পাওয়ার জন্যই তিনি বিয়ের আয়োজন করেননি। দিনের শেষে এটাই হল ভালোবাসা। এমন রাজকীয় খাওয়ার বিনিময়ে কিছু খরচ না করাটা গালে এক থাপ্পড় ছাড়া কিছু নয়।