মহানগর ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাসল্ট রাইফেল ব্যবহার করা হয় গণহত্যার জন্য। এই যুক্তি দেখিয়ে অ্যাসল্ট রাইফেল উৎপাদন,বিপণন ও বিক্রি বন্ধ করার জন্য স্মিথ অ্যান্ড ওয়েসন সংস্থার বোর্ডের বিরুদ্ধে মামলা করল একদল সন্ন্যাসিনী। নেভদা কোর্টে দায়ের করা মামলায় দাবি করা হয়েছে স্মিথ অ্যান্ড ওয়েসন সংস্থার ডিরেক্টর ও ম্যানেজমেন্টের সিনিয়র কর্তারা যুক্তরাষ্ট্রীয় ও স্টেট এবং আইনকে লঙ্ঘন করে জেনেবুঝেই সংস্থাকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিচ্ছেন। এবং গণহত্যা নিয়ে মামলার জবাব দিতে সংস্থা ব্যর্থ হয়েছে।
এক বিবৃতিতে সন্ন্যাসিনীরা দাবি করেছে গণহত্যার জন্য ব্যবহার করা ছাড়া এই ধরণের রাইফেলের অন্য কোনও উদ্দেশ্য নেই। প্রসঙ্গত,এআর-ফিফটিন ধাঁচের রাইফেলগুলি একাধিক গণহত্যায় ব্যবহার করা হয়েছে,যা মার্কিন নাগরিকদের প্রচণ্ড আঘাত করেছে। মামলায় আবেদনকারিণীরা জানিয়েছেন ক্রমবর্ধমান গণহত্যার ঘটনার তোয়াক্কা না করে এআর ফিফটিন রাইফেল বিক্রি করে স্মিথ অ্যান্ড ওয়েসন সংস্থা রেকর্ড লাভ করেছে। তাদের তৈরি করা রাইফেল বিক্রি করে ব্যাপক মুনাফা করেছে সংস্থা।
নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে আবেদনকারিণী সন্ন্যাসীরা হলেন মিচের আদ্রিয়ান ডোমিনিকান সিস্টার সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত। আবেদনের প্রথম পাতায় ২০১২ সালে কলোরাডো সিনেমায় গণহত্যার ছবি দেওয়া হয়েছে। ওই গণহত্যায় বারোজনের মৃত্যু হয় এবং সত্তরের বেশি মার্কিন নাগরিক জখম হন। মামলায় জয় হলে সংস্থার ডিরেক্টরদের দায়ী বলে সাব্যস্ত হবেন এবং অবৈধভাবে অ্যাসল্ট রাইফেলের বিপণনের কারণে কোনও ক্ষতি হলে তা মেটাতে বাধ্য হবেন। এদিকে মামলা সম্পর্কে সংস্থার সিইও এবং প্রেসিডেন্ট মার্ক স্মিথ তাঁর প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন সন্ন্যাসিনীরা সংস্থা বা শেয়ার হোল্ডারদের স্বার্থ নিয়ে কোনওভাবেই আগ্রহী নন। তিনি জানান এই মামলা সন্ন্যাসিনীদের শেয়ার হোল্ডারদের অপহরণ ও তাঁদের অ্যাডভোকেসি প্রোসেসকে বিঘ্ন ঘটিয়ে সংস্থার সুনাম নষ্ট করার চেষ্টামাত্র।
অন্যদিকে সন্ন্যাসিনীদের তরফে শীর্ষ আইনজীবী জেফরি নর্টন জানিয়েছেন তাঁর মক্কেলরা সমবেতভাবে স্মিথ অ্যান্ড ওয়েসনের এক হাজারেরও বেশি শেয়ারের মালিক। শীর্ষ আইনজীবী আরও জানান এই ক্যাথলিক সিস্টারের অংশীদার হতে পেরে তিনি গর্বিত। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে শেয়ার হোল্ডারদের কাজকর্মের মাধ্যমে কর্পোরেটদের দায়বদ্ধতাকে সক্রিয় করার চেষ্টা করেছেন। ক্যাথলিক সন্ন্যাসিনীদের এই মামলাকে অতি তুচ্ছ ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন ন্যাশনাল কাউন্সিল স্পোর্টস ফেডারেশনের লরেন্স কেন।