মহানগর ডেস্ক: ফোলা গাল (Plump Cheeks) নিয়ে প্রায়ই স্বামীর কাছ থেকে কটূক্তি শুনতে হতো তাঁকে। রোজ রোজ স্বামীর কটূক্তি শুনতে শুনতে একদিন শরীরের ওজন কমাতে শুরু করেছিলেন তিনি (Weight Loss Tragedy)। খাওয়াদাওয়া (Started Starving) একরকম বন্ধই করে দিয়েছিলেন আর এতটাই যে চিকিৎসার জন্য তাঁকে নিয়ে যেতে হয়েছিল হাসপাতালে। তাঁর লাবন্যময় শরীর তখন প্রায় কঙ্কালে পরিণত হয়েছে।
ঘটনাটি রাশিয়ার বেলাগোরোডের। ইয়ানা বোব্রোভা নামে ক্ষীণ হয়ে মহিলার ঘটনা সংবাদ শিরোনাম দখল করে নিয়েছিল। ডেলি স্টার জানিয়েছে পাঁচ ফুট দু ইঞ্চি লম্বা ইয়ানার ওজন এখন মাত্র বাইশ কেজি। তাঁর ফোলা ফোলা গাল নিয়ে স্বামীর অহরহ কটূক্তির কারণে অনাহারে থেকে চেহারার এমন করুণ হাল হয়েছে। স্বামীর মুখে অমন কথা শুনে ইয়ানার মনে হয়েছিল তাঁর ওজনটা কমানো জরুরি। আর মনে হওয়ার পরেই খাওয়াদাওয়া একেবারে বন্ধই করে দেন তিনি।
রাশিয়ার টিভিতে একটি টকশোয়ে ইয়ানা জানিয়েছেন স্বামীর নিত্যদিনের ফোলা গাল নিয়ে কটূক্তি তাঁকে ওজন কমানোর ব্যাপারে ভীষণভাবে মরীয়া করে তুলেছিল। মনের ওপর চাপও ফেলেছিল প্রচণ্ড। ওই টক শো যেসমস্ত মানুষ তাদের জীবনে তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তনের অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়েছেন, তাঁদের ওপর বিশেষ আলোকপাত করে থাকে। শোয়ে আগে তাঁদের জীবন কীরকম ছিল, পরে তা কীরকম হয়েছে, তা নিয়েই চর্চা চলে।
শোয়ে ইয়ানা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় ওজন কমানোর ব্যাপারটা ঠিক করে নিয়েছিলেন। যেরকম চেয়েছিলেন, সেইমতো ওজন কমাতে প্রচণ্ড এক্সারসাইজ থেকে শুরু করে খাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ এনেছিলেন তিনি। বর্তমানে ইয়ানা বিস্কুট,চা, জল, ক্যান্ডি ও ছোট্ট এক টুকরো চিজ ও হাফ গ্লাস সবজির সুপ খান। শোয়ে তিনি আরও জানিয়েছিলেন তাঁর স্বামী শুধু ভয় ধরিয়ে দেওয়া ওজন কমানোর ব্যাপারে নাক গলাতে ব্যর্থই হননি, সমাজে মেলামেশার ব্যাপারে জারি করেছিলেন বিধি নিষেধ।
গুণধর স্বামী চাকরি ছাড়ার ব্যাপারে জোরও করেছিলেন। তাঁর ওজন কমানোর মরীয়া চেষ্টার পাশাপাশি স্বামীও তাঁকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। তবে এই পরিস্থিতির জন্য স্বামী বা পরিবারের কারো ওপরে দোষ চাপাননি তিনি। তবে বিশেষজ্ঞরা তাঁকে দেখে রীতিমতো চমকে যান। ইয়ানাকে স্টুডিও থেকে সরাসরি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।