মহানগর ডেস্ক: বৃদ্ধের কাছে ফোন এসেছিল বাচ্চা ছেলের গলায়। ফোন এসেছিল হোয়াটস অ্যাপের নম্বরে। কান্নামাখা গলায় বাচ্চাটি জানিয়েছিল সে তার ভাগনের ছেলে। তাকে অপহরণ করা হয়েছে। তাকে ছাড়াতে পঞ্চাশ হাজার টাকা দিতে হবে। টাকাটা না দিলে তাকে মেরে ফেলা হবে। গলার স্বর এমনই যে খুবই চেনা চেনা লেগেছিল বৃদ্ধের কাছে। আর্টিফিসিয়াল ইন্টালিজেন্স প্রযুক্তির সাহায্যে বাচ্চার গলা নকল করে পঞ্চাশ হাজার টাকা বাচ্চা ছেলের গলায় দাবি করেছিল সাইবার অপরাধীরা বলে তদন্ত নেমে জানতে পারে পুলিশ। আর ওই কাণ্ড ঘটিয়ে যমুনা বিহারের বৃদ্ধের কাছ থেকে টাকাটা আদায় করে তারা।
প্রতারকদের ফাঁদে পা দিয়ে পঞ্চাশ হাজার টাকা গুণাগার দিতে হয় লক্ষ্মীচাঁদ চাওলাকে। পুলিশ জানিয়েছে গত অক্টোবরের চব্বিশ তারিখে চাওলা হোয়াটস অ্যাপে মেসেজ পান তাঁর ভাগনের ছেলে অপহৃত হয়েছে। ব্যাপারটা বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে একটি শিশুর ভয়েস রেকর্ডিং শোনান বৃদ্ধকে। শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে সাহায্য চায়। শিশুর ওমন কান্নামাখা গলা শুনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তিনি। গলাটি যে নকল, তা বোঝার উপায় ছিল না বৃদ্ধের পক্ষে। নকল গলা শুনে তিনি পেটিএমে পঞ্চাশ হাজার টাকা ট্রান্সফার করেন প্রতারকের অ্যাকাউন্টে।
এরপর ভাগনের ছেলের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে আসল বিষয়টি জানতে পারেন চাওলা। জানতে পারেন ভাগনের ছেলের গলা ক্লোন করা হয়েছে। সে বাড়িতে নিরাপদেই আছে। এই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর সাম্প্রতিকতম রেকর্ড থেকে জানা গিয়েছে ২০২২ সালে মোচ ৬৮৫টি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। ২০২১ সালে সংখ্যাটা ছিল ৩৪৫টি। ২০২০ সালে মামলা দায়ের হয়েছে ১৬৬টি। সাইবার অপরাধের বাড়বাড়ন্তে দিল্লি পুলিশ তা দমন করতে অপরাধীদের পাঁচটি সাধারণ পদ্ধতি ফাঁস করেছে। সেগুলি হল ফেক ট্রাই বা ফেডেক্স কুরিয়ার কোম্পানির কলারস, হোম জব বা টেলিগ্রাম ফ্রড, সেক্সটরসন, পরিবারের কেউ বা বন্ধুরা বিপদে পড়েছে, তা নিয়ে প্রতারণা এবং ওটিপি বা লিংক বেসড চিটিং।