মহানগর ডেস্ক: নিজের রুমে বিভিন্ন কারণে ছাত্রীদের ডেকে তাদের শরীরের নানা অংশে অবাঞ্ছিত স্পর্শ করতেন প্রিন্সিপাল (Sexually Abuse By Principal)। প্রথমে ছাত্রীরা ভয়ে কারোকে কিছু বলার সাহস পায়নি। পরে পরিবারের লোকেদের ঘটনাটির কথা জানায় তারা। প্রিন্সিপালের যৌন হেনস্থার কথা জানিয়ে ছাত্রীরা রক্তে লেখা চিঠি পাঠায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে।
তারা প্রিন্সিপালের কঠোর শাস্তি দাবি করে। রক্তে লেখা চিঠিতে ছাত্রীরা জানায় ঘটনার কথা বাড়ির লোকদের জানানোর পর তারা স্কুলে গিয়ে প্রতিবাদ জানায়। স্কুলে অভিভাবক ও প্রিন্সিপালের মধ্যে প্রবল ঝামেলা হয়। প্রিন্সিপাল ছাত্রী ও তাদের পরিবারের সঙ্গে প্রবল বাদানুবাদে জড়ান। বচসা থেকে মারামারিতে গড়ায়। অভিভাবকেরা প্রিন্সিপালকে মারধর করে। মারধরে জখম হন প্রিন্সিপাল।
এরপর স্কুলে অনধিকার প্রবেশ করে তাঁকে হেনস্থা করেছে বলে প্রিন্সিপাল পুলিশে অভিযোগ করেন। পাল্টা অভিযোগ করেন অভিভাবকেরাও। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে রক্তে লেখা চিঠিতে ছাত্রীরা জানায় তাদের ও পরিবারের লোকজনদের হুমকি দিয়েছেন প্রিন্সিপাল এবং পুলিশকে দিয়ে কয়েক ঘণ্টা আটক করা হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের কোনওভাবে আর ক্লাস না করার নির্দেশও দেয় বলে চিঠিতে লেখা হয়।
ছাত্রীদের জানানো হয় প্রিন্সিপাল আরএসএসের সদস্য, তাই তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। তবে অভিভাবকদের সঙ্গে গোলমালের জেরে অভিযুক্ত প্রিন্সিপালকে পুলিশ গ্রেফতার করে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে রক্তে লেখা চিঠিতে ছাত্রীরা জানায় তারা তাঁর সঙ্গে দেখা করে এ নিয়ে কথা বলতে চায়। এ ব্যাপারে সুবিচার চায় তারা। গাজিয়াবাদের পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে বিশদে তদন্ত শুরু হয়েছে।