মহানগর ডেস্ক: ৪ দিনের মাথায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন মিঠুন চক্রবর্তী। ইস্কিমিক স্ট্রোকের জন্য বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, আপাতত সুস্থ আছেন তারকা। ডাক্তারদের তরফে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।এদিন অভিনেতা কে দেখতে হাসপাতালে যান দিলীপ ঘোষ সহ বিজেপির প্রথম সারির নেতৃত্ব। হাসপাতাল থেকে বেড়িয়েই স্বাভাবসিদ্ধ ভাবে মিঠুন চক্রবর্তী বলেন “আমি রাক্ষস, গো গ্রাসে খাই”! মিঠুন চক্রবর্তী সুস্থ এই খবরে আপাতত স্বস্তি তে ফাটাকেস্টর ভক্তরা।
শনিবার সকালে কলকাতার অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি হন বর্ষীয়ান অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। শরীরের ডান দিকের উপর ও নিচের অংশে ব্যাথা নিয়ে ভর্তি হন মহাগুরু। পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তার মস্তিষ্কে ইস্কেমিক সেরিব্রোভাসকুলার অ্যাক্সিডেন্ট (স্ট্রোক) ধরা পড়ে। মেডিকেল বুলেটিনে বলা হয়েছে, ”মিঠুন চক্রবর্তীর স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছে। তার পরিস্থিতি অনেকটাই স্বস্তিদায়ক। তিনি এখন সম্পূর্ণ সজাগ, সক্রিয়। পারিপার্শ্বিক বিষয়ে ওয়াকিবহাল। অভিনেতাকে নরম খাবার দেওয়া হয়েছে। তার আরও শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা বাকি। “হাসপাতালের বিছানায় আধা শোয়া অবস্থায় মিঠুনের কয়েকটি ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে রোববার। ওই সব ছবিতে মিঠুনকে স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে দেখা গেছে।
মিঠুন চক্রবর্তীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁকে ফোন করে কথাও বলেছেন মোদী বলে জানা গিয়েছে। ‘ইস্কিমিক স্ট্রোকে’ আক্রান্ত মিঠুনের চিকিৎসায় হাসপাতালে মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখা করতে গেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রবিবার বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের সঙ্গে হাসপাতালে যান সুকান্ত। মিঠুনের শারীরিক অবস্থা নিয়ে অনেকক্ষণ কথা হয় সুকান্ত। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এসে সুকান্ত জানান, মিঠুন আগের থেকে অনেকটাই সুস্থ আছেন। গোলাপ নিয়ে মিঠুন চক্রবর্তী-কে দেখতে হাসপাতালে দিলীপ ঘোষ ও। এর আগে অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী, দেব, রাজ চক্রবর্তীররা হাসপাতালে দেখা করতে যান মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে। তথাকথিত তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক, সাংসদদের দেখা গেলেও বিজেপি নেতৃত্বকে দেখা যায়নি গতকাল থেকে। টলি পাড়ার একাধিক তারকা ছুটে গিয়েছেন হাসপাতালে।
তিন দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভারতীয় সিনেমার অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের বিবৃতি প্রকাশের আগে মিঠুনের শারীরিক অবস্থা নিয়ে কথা বলে তার পরিবার। মিঠুনের বড় ছেলে মহাক্ষয় চক্রবর্তী ওরফে মিমো ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, ‘বাবা ১০০ শতাংশ ভালো আছেন আর এটা একটা রুটিন চেক আপ।’ একইভাবে মিঠুনের পুত্রবধূ মাদালশা শর্মা (মিমোর স্ত্রী) মিঠুনের স্ট্রোক হওয়ার খবর উড়িয়ে দিয়েছিলেন। তার কথায়— ‘এগুলো ভুয়া খবর।’