মহানগর ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডের জঙ্গলকে গ্রাস করেছে ভয়াবহ দাবানল। তাতেই এখন পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ মৃতের সংখ্যার মধ্যে একজন ৬৫ বছর বয়সী মহিলা রয়েছে। রবিবার AIIMS ঋষিকেশে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। জানা গিয়েছে ওই বৃদ্ধা খামারে পৌঁছে যাওয়া বনের আগুন নেভানোর চেষ্টা করার সময় আহত হন। তার পরেই তাঁকে AIIMS ঋষিকেশে ভর্তি করা হয় বলেই কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
সাবিত্রী দেবী নামে ওই মহিলা শনিবার (৪ মে) থালপি গ্রামে তাঁর খামারে জঙ্গলের আগুন দেখতে পান। তিনি সেখানে ঘাসের বান্ডিল সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন । সেই সময়েই আহত হলে তাকে AIIMS ঋষিকেশে রেফার করা হয়েছিল। রবিবার ভোররাতে তিনি মারা যান। বন বিভাগের আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে পিথোরাগড় জেলার গাঙ্গোলিহাট বন রেঞ্জে আগুন লাগানোর জন্য ভারতীয় বন আইনের অধীনে পীযূষ সিং, আয়ুষ সিং, রাহুল সিং এবং অঙ্কিত এই চারজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দেরাদুনের আবহাওয়া কেন্দ্রের পরিচালক বিক্রম সিং ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, উত্তরাখণ্ডে ৭ মে থেকে ৮মে পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ১১ মে বৃষ্টি বাড়বে বলেই জানানো হয়েছে। এই বৃষ্টি বনের আগুন নেভাতে সহায়তা করতে পারে বলেই আশা প্রকাশ করা হচ্ছে।
৭ মে থেকে কুমায়ুন অঞ্চলে এবং ৮ মে থেকে গাড়ওয়াল অঞ্চলে বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। কয়েক মাস ধরে চলতে থাকা দাবানল হিমালয়ের পাহাড়ি রাজ্যের সবুজ আবরণকে গ্রাস করে চলেছে। ১ নভেম্বর ২০২৩ থেকে ৯১০টি বন অগ্নিকাণ্ডের শিকার হয়েছে। ঘটনায় মোট ১,১৪৫ হেক্টর বন ধ্বংস হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের ফলে উত্তরাখণ্ড বন বিভাগের ২৫ লাখ টাকারও বেশি রাজস্বের ক্ষতি হয়েছে। দাবানল এখন আবাসিক এলাকার জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি মুখ্য সচিব রাধা রাতুরিকে সমস্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে এক সপ্তাহের নোটিশ দিতে এবং নিয়মিত বনের দাবানল পর্যবেক্ষণ করার জন্য নির্দেশনা জারি করতে বলেছেন। তিনি অবিলম্বে এক সপ্তাহের জন্য সমস্ত ধরণের পশুখাদ্য পোড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার জন্য সমস্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিতে বলেছেন।