মহানগর ডেস্ক: আশার আলো? উত্তরাখণ্ডে সুরঙ্গে আটকে পড়া ৪১জন শ্রমিককে উদ্ধারে এবার এগিয়ে এল সেনাবাহিনী। বিকল হয়ে পড়া যন্ত্রের বদলে হাতের ওপর ভরসা করে কাজে নেমে পড়ল তারা। এর আগে বিশাল আকারের ড্রিল মেশিন ভেঙে পড়ে। পনেরোদিন ধরে সুরঙ্গে আটকে রয়েছেন শ্রমিকরা।
গত পরশুদিন তাদের খাবার হিসেবে খিচুড়ি পৌছে দেওয়া হয়েছে। অভুক্ত থাকা শ্রমিকদের পুষ্টিকর খাবারও পৌঁছে দেওয়া হয়। আশা করা হয়েছিল বিশাল আকারের ড্রিল মেশিন দিয়ে কার্যোদ্ধার হবে। কিন্তু মেশিনটির ব্লেড ধ্বংসস্তূপে ভেঙে যায়। শেষ পর্যন্ত যন্ত্র নয়, সেনাবাহিনী হাত লাগিয়ে শ্রমিকদের উদ্ধার শুরু করেছে সেনাবাহিনী। ধসে পড়া সিলকারা সুরঙ্গে আমেরিকা থেকে আনা ড্রিল মেশিন দিয়ে ষাট মিটার পর্যন্ত এগনোর পর শুক্রবার সেটি বিকল হয়ে পড়ে। এই মুহূর্তে যন্ত্রটি সুরঙ্গ থেকে বের করে নিয়ে আসা হচ্ছে। শেষ দশ থেকে পনেরো মিটার হাত দিয়ে মেশিন চালিয়ে ভেঙে ফেলা হয়।
ইতিমধ্যেই একটি গর্ত করা হয়েছে। সেই গর্তে হাত দিয়ে ড্রিল করছেন একজন। গর্ত করার পর সেই গর্ত দিয়ে কারোকে বের করে যাতে সম্ভব হয়,তার চেষ্টা করা হচ্ছে। ম্যানুয়াল ড্রিলিংয়ে সাহায্য করছে সেনাবাহিনী। উদ্ধার কাজে সহায়তা করতে এদিন মাদ্রাজ স্যাপারস এসে পৌঁছেছে। তবে তিনশো ষাট ঘণ্টা থাকা ৪১জি শ্রমিককে উদ্ধার করতে আরও অনেকদিন অপেক্ষা করতে হবে। উত্তরাখণ্ড সরকার জানিয়েছে প্রত্যেকেই নিরাপদে আছেন। আলো,অক্সিজেন, খাবার,জল ও ওষুধ তাঁদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
তবে ধৈর্য রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল( অবসরপ্রাপ্ত) সঈদ আটা হাসান। বলেছেন এই অভিযান সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। আপনি যখন পাহাড়ে কাজ করবেন, তখন সবকিছুই আনপ্রেডিক্টেবল। তাঁরা কোনও টাইমলাইন দিচ্ছে না। ধসে পড়া সুরঙ্গের সামনে ইন্টারন্যাশনাল টানেল বিশেষজ্ঞ আর্নল্ড ডিক্স অবশ্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বড়দিনের মধ্যেই শ্রমিকদের উদ্ধার করা সম্ভব হবে।