মহানগর ডেস্ক : আর অপেক্ষা নয়। বুধবারই বামফ্রন্টের তরফে আসন সংক্রান্ত প্রাথমিক পরিকল্পনা ঘোষণার পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছে। তবে সিপিএম নেতৃত্ব আশাবাদী, এই মঙ্গল ও বুধ এই দুই দিনের মধ্যেই এআইসিসি নেতৃত্ব বামফ্রন্টের সঙ্গে আসন সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁদের অবস্থান স্পষ্ট করবে। সিপিএম চাইছে না কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝেতা নিয়ে আর কালক্ষেপ করতে। পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বেরও একই বক্তব্য এই বিষয়ে।
সোমবার দিল্লিতে সিপিএম পলিটব্যুরোর বৈঠক হয়। সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, পলিটব্যুরোর বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে আসন-সমঝোতায় দলের কোনও আপত্তি নেই। তবে সমস্যাটা অন্য জায়গায়, কেননা, কংগ্রেসের তরফে এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট করে এই নিয়ে কিছু চূড়ান্তভাবে জানানো হয়নি, তাই সম্পূর্ণ বিষয়টিই মাঝপথে আটকে রয়েছে। বামেরা কংগ্রেস এবং আইএসএফ-কে সঙ্গে নিয়েই বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়তে প্রস্তুত। তৃণমূল প্রার্থী ঘোষণা করে দেওয়ার পরে আর অপেক্ষা করা যে রাজনৈতিকভাবে অর্থহীন, সেই বার্তা সিপিএমের তরফে এআইসিসি-র কাছেও পৌঁছে দেওয়া হয়েছে পলিটব্যুরোর বৈঠকের পর।
সিপিএম রাজ্য পলিটব্যুরো বৈঠক শেষ হওয়ার পর দিল্লিতে থেকে গিয়েছেন সম্পাদক কংগ্রেসের সঙ্গে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝেতা নিয়ে আলোচনা চূড়ান্ত করার জন্য।
সিপিএমের কাছে এখনও স্পষ্ট নয় কংগ্রেস বাংলায় সঠিকভাবে কত আসনে লড়তে চায়। এই বিষয়টি জানাতে কংগ্রেস যত দেরি করবে, প্রচারে ততোই চাপ বাড়বে বলে সিপিএম মনে করে। তাই মুখোমুখি বসে আলোচনা করতে পারলে আরও ভাল। আশা করা যাচ্ছে, মঙ্গল ও বুধবারের মধ্যে বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে যেতে পারে, এই কারণেই মহম্মদ সেলিম দিল্লিতে থেকে গিয়েছেন। আশাকরা যাচ্ছে আজ মঙ্গলবারই এই বিষয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে একটা সমন্বয় বৈঠক হবে। কারণ বামফ্রন্ট চাইছে বুধবার আসন সংক্রান্ত বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে দিতে।
এদিকে আজ কলকাতায় বামফ্রন্টের বৈঠক ডাকা হয়েছে, বৈঠকের মূল আলোচ্য, কংগ্রেসের সঙ্গে আসন রফার প্রস্তুতি। আর দিল্লিতে পলিটব্যুরো বৈঠকের আগে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, ‘‘এক একটা দল নিজেদের মতো সিদ্ধান্ত নেয়। বাংলায় তৃণমূল স্পষ্ট করে দিয়েছে, তারা একাই লড়তে চায়। এ বার ‘ইন্ডিয়া’ জোটের বাকি শরিকদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে তাদের কৌশলের ব্যাপারে।’’ এ রাজ্যে সিপিএমের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকার বিষয়েও পলিটব্যুরোর বৈঠকে আলোচনা সম্পূর্ণ করে ফেলা হয়েছে। তবে এআইসিসির ধীরে চলার জন্য বামফ্রন্টের কিছুটা সমস্যা যে হচ্ছে সেটা বাস্তব।