মহানগর ডেস্ক: কুকি আর মেইতি সম্প্রদায়ের বিদ্রোহ নিয়ে উত্তপ্ত উত্তর-পূর্বের রাজ্য মণিপুর। যে ঘটনার রেশ পড়েছে গোটা দেশজুড়েই। সাধারণ মানুষ থেকে রাজনৈতিক মহল সব ক্ষেত্রেই হয়েছে তোলপাড়। বিরোধীরা এই ঘটনা নিয়ে বিজেপি দায়ী করেছে। জানতে চেয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রতিক্রিয়া। রাজ্য সরকার দাবি করেছে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এই আবহেই কুকি উপজাতির দশজন বিধায়ক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন। যেখানে তাঁরা মণিপুরের কুকি-উপজাতি অধ্যুষিত পাহাড়ি এলাকার জন্য আলাদা মুখ্য সচিব এবং ডিজিপি আনার দাবি করেছেন।
বিজেপির সাতজন সহ ১০ জন কুকি বিধায়ক বুধবার প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন, যাতে “দক্ষ প্রশাসন” নিশ্চিত করার জন্য রাজ্যের পাঁচটি পার্বত্য জেলায় “মুখ্য সচিব এবং ডিজিপির সমতুল্য পদ” প্রতিষ্ঠা করার অনুরোধ করা হয়েছে। যে পাঁচটি জেলার জন্য তারা এই দাবি তুলেছে সেগুলি হল চুরাচাঁদপুর, কাংপোকপি, চান্দেল, টেংনুপাল এবং ফেরজাওল। বিধায়করা স্মারকলিপিতে বলেছেন, “কুকি-জো উপজাতির আইএএস, এমসিএস, আইপিএস এবং এমপিএস অফিসাররা কাজ করতে এবং তাদের দায়িত্ব পালন করতে অক্ষম হয়েছেন কারণ ইম্ফল উপত্যকাও আমাদের জন্য মৃত্যুর উপত্যকায় পরিণত হয়েছে।” এই দাবির আগে ১০ জন বিধায়ক মণিপুরের উপজাতীয় অঞ্চলগুলির জন্য একটি পৃথক প্রশাসন গঠনের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীকে অনুরোধ করেছিলেন।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা ভাল মণিপুরে গত ৩ মাস ধরে দুই জনজাতির মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। মেইতিদের তফসিলি উপজাতি (এসটি) মর্যাদার দাবি ঘিরে ৩ মে সহিংসতা শুরু হয়। শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। ঘরছাড়া বহু পরিবার। জানা গিয়েছে বেশিরভাগ কুকি বিধায়ক, দলগত সম্পর্ক নির্বিশেষে, চলমান জাতিগত সহিংসতার উল্লেখ করে ২১ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া মণিপুর বিধানসভা অধিবেশনে যোগ নাও দিতে পারেন।